অধিনায়ক কার্তিকের ১টি চালাকির কারণে নিশ্চিত হারা ম্যাচে জয় পেলো কলকাতা নাইট রাইডার্স

লক্ষ্য ১৬৫ রানের। শেষ ২৪ বলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দরকার ২৯ রান। হাতে ৯ উইকেট। জয়টা তখন কেবল সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল লোকেশ রাহুলের দলের। সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ম্যাচটা ২ রানে জিতে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

১৯তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন রাহুল। ৫৮ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৭৪ রান করা এই ওপেনার প্রসিধ কৃষ্ণার ওই ওভারে আউট হন, পাঞ্জাবও হঠাৎ ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে।

শেষ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল ১৪ রান। ক্যারিবীয় স্পিনার সুনিল নারিনের ওই ওভারে ১১ রান তুলতে পারে রাহুলের দল, তার আগে ১৮তম ওভারে এই নারিনই মাত্র ২ রান খরচ করে নেন ১টি উইকেট।

ম্যাচ জয়ের প্রধান অবদান নারিনের ১৮ তম ওভার। ১৮ তম ওভারে মাত্র ২ রানে ১ উইকেট নিয়ে পাঞ্জাবকে দারুণ চাপে ফেলে কলকাতা। কারণ নারিনের ওভারের আগ পর্যন্ত পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ১৮ বল্যে মাত্র ২২ রান এবং হাতে ছিল ৯ উইকেট।

অথচ বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার রাহুল আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১৪.১ ওভারে দলকে এনে দিয়েছিলেন ১১৫ রানের জুটি। সেখান থেকে নানা নাটকীয়তায় শেষটায় কাঁদতে হলো পাঞ্জাবকে।

তবে নারিনের ২ ওভার হাতে রেখে দিয়ে অধিনায়কের ভূমিকা দারুণ ভাবে পালন করেছেন দিনেশ কার্তিক। মূলত এই ১টি চালাকির কারণেই দলের এই জয় বলতেই হয়।

এর আগে শুভমান গিল আর দিনেশ কার্তিকের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তুলে কলকাতা। অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিপদেই পড়েছিল তারা। ১৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। রাহুল ত্রিপাথি ৪ রান করে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন। ২ রানে রানআউটের শিকার নিতিশ রানা।

ইয়ন মরগ্যানকে নিয়ে সেই বিপদ কিছুটা সামলে ওঠেন শুভমান গিল। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে রবি বিষ্ণুর শিকার হন মরগ্যান, ২৩ বলে ইংলিশ ব্যাটসম্যান করেন ২৪ রান।

শুভমান গিল আর দিনেশ কার্তিক এরপর পাঞ্জাবের বোলারদের কাঁদিয়ে ছেড়েছেন। ৪২ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। ভয়ংকর কার্তিক তো ফিফটি ছুঁয়েছেন মাত্র ২২ বলে।

চতুর্থ উইকেটে তাদের ৪৩ বলে ৮২ রানের ঝড়ো জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভেঙেছে রানআউটে। ৪৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করে ১৮তম ওভারে এসে আউট হয়েছেন গিল। পরের ওভারে বিধ্বংসী আন্দ্রে রাসেলকে (৩ বলে ৫) তুলে নেন অর্শদ্বীপ সিং।

কার্তিক তার তাণ্ডব চালিয়ে গেছেন একদম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। শেষ ওভারের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৫৮ রান করেন কলকাতা অধিনায়ক, যে ইনিংসে ছিল ৮ বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.