এই সময় বিনোদন ডেস্ক: ছবিটা ২০১৭ সালের। পলিটিকাল স্যাটায়ার ‘ঘ্যাচাং ফু’। ছবির ট্রেলারটা দেখলেই তাতে অসংখ্য আঁচড়ের দাগ পাবেন দর্শক। যেটা ইচ্ছে করেই ছবির প্রয়োজনে রেখেছেন পরিচালক জয়রাজ ভট্টাচার্য ও তাঁর দল। সেই ছবিরই একটি ভিডিয়ো ক্লিপ নিয়ে নতুন করে হইচই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হঠাৎ কী হল?
ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, কিউ, কমলিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দামিনী বেনি বসু, সুদীপা বসুর মতো অভিনেতারা। সেই ছবিরই ১৩ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি থেকে কেউ মোবাইলে অনির্বাণের সাহসী দৃশ্যের ১৩ সেকেন্ড রেকর্ড করে বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। যেখানে একটি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে অভিনেতা অনির্বাণের যৌনাঙ্গ দৃশ্যমান। সেই ক্লিপে অনির্বাণের যৌনাঙ্গের আকার নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ বডি শেমিং অর্থাৎ শরীরের আকার নিয়ে নানা কুরুচিকর মন্তব্যে আরাম পাচ্ছেন, কেউ আবার অভিনেতা অনির্বাণের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। তবে পুজোর মরসুমে আচমকাই ‘ঘ্যাচাং ফু’ শিরোনামে।
বিভিন্ন মিম পেজ থেকে শুরু করে, বহু মানুষ নিজের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে অভিনেতার যৌনাঙ্গের সাইজ নিয়ে পোস্ট করা হচ্ছে। যদিও অনির্বাণ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য এখনও করেননি। জয়রাজ ভট্টাচার্য পরিচালিত এই ‘ঘ্যাচাং ফু’ ছবিটি একটি পলিটিক্যাল স্যাটায়ারের ওপর নির্মিত। সিনেমাটির ট্রেলার রিলিজের পরেই ভারতে ব্যান করা হয়েছিল। এখন বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে। যদিও পরিচালক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রয়োজনে আইনি পথে যাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সাহসী দৃশ্যে অভিনয় নতুন নয়। এর আগেও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পাওলি দাম, রাধিকা আপ্টে , অনুব্রত বসু, ঋ সেন — নানান সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাই অনির্বাণ ভট্টাচার্যের মতো প্রথম সারির অভিনেতার এমন দৃশ্যে অভিনয় অবশ্যই সাহসিকতার দাবী রাখে বলে মনে করেন অনুরাগীদের একাংশ। তার পরেও তাঁকে নিয়ে এমন অশালীন মন্তব্য কেন করা হচ্ছে, তাই নিয়েও সরব হয়েছেন কিছু মানুষ। কোনও সেলিব্রিটি বা যে কোনও মানুষের শারীরিক গঠন নিয়ে প্রশ্ন করাটা যে কত বড় অপরাধ, সেটা আধুনিক সমাজ একেবারেই ভুলে গিয়েছে। যার প্রমাণ এমন সেলিব্রিটিদের নিয়েও এ ধরনের মন্তব্য।