তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে দিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য মা’দ’ক আনাতেন। সুশান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী না’র’কো’টিকস ক’ন্ট্রো’ল ব্যু’রোর কাছে জেরায় এ কথা মেনে নিয়েছেন বলে দাবি করেছে একটি সূত্র। জানা গিয়েছে, সোমবার ফের রিয়ারে জেরা করবে NCB।
সূত্রের দাবি, রিয়া চক্রবর্তী এনসিবি আধিকারিকদের বলেছেন যে, ১৭ মার্চ স্যামুয়েল মিরান্ডা যে জায়েদের থেকে মা’দ’ক কিনতে গিয়েছিলেন, তা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন।
তিনি নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি শুধু জানতেন এমনটাই নয়, তিনি তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী ও মা’দ’ক পা’চা’রকারী জায়েদের মধ্যে কো’অ’র্ডিনেশনের কাজও করতেন।
১৫ মার্চের যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে সুশান্তের জন্য মা’দ’ক আনা নিয়ে রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিকের মধ্যে কথা হয়েছিল, তাও সত্যি বলে নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া। তাঁকে ফের সোমবার জন্য সমন দিয়েছে এ’ন’সিবি। এ দিন রিয়া আধিকারিকদের বলেছেন, তিনি নিজে কখনও না’র’কো’টিক ড্রা’গ নেননি।
রবিবার সকালেই এনসিবির দফতরে হাজিরা দেন রিয়া। রবিবার বেলা ১১.২৫ নাগাদ রিয়া বেরোন তাঁর বাড়ি থেকে। ১২.৩০ থেকে শুরু হয় জেরাপর্ব।
চলে সন্ধে ৬.১৫ পর্যন্ত। ৯ সেপ্টেম্বর অবধি পুলিশি হেফাজতে থাকবে শৌভিক। চলবে জেরা। একদিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেশ কিছুজনের নাম বলেছে শৌভিক।
শৌভিক কতটা সত্যি বলছেন বা এই চক্রের পেছনে আরও কে কে চাইছে সে বিষয়ে বিশদে জানতেই ভাই-বোনকে মুখোমুখি বসিয়ে চলবে জেরা।
শনিবার বিকেলে এনসিবি মুম্বই আদালতকে জানায়, চু’রি, ছি’ন’তাই, অ’পরাধমূলক কিছু ষ’ড়য’ন্ত্র রয়েছে কিনা এর পেছনে সেদিকও দেখা হচ্ছে। কারণ শৌভিক ছাড়া অন্য এক ধৃ’তের থেকে সেরকম আভাষ তাঁরা পেয়েছেন।
মা’দ’ক পা’চা’র’কা’রীদের সঙ্গে যোগ ছিল অ’পরাধ জগতের। এছাড়াও ড্রা’গ কেনাবেচার এই আর্থিক লেনদেন কীভাবে হত তাও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। আর্থিক লেনদেনের এই বিষয়টি এনসিবি এর সঙ্গে দেখবে ইডিও।
রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আঙুল তুলেছেন সুশান্তের পরিবার। অভিনেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং অতিরিক্ত মা’দ’ক খাইয়ে সুশান্তকে খু’ন করেছেন রিয়া বারবার এই অভিযোগই আসছে। মা’ন’সিক চাপ থেকেই সুশান্ত বাধ্য হন আ’ত্ম’হ’ত্যা করতে, পরিবারের দাবি এমনটাই।