গতকাল আইপিএল-এর লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানের লড়াইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে পাঁচ উইকেটে হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মুম্বইয়ের পেসাররা দিল্লি ক্যাপিটালসকে মাত্র ১৬২ রানে বেঁধে রাখে, জবাবে দুই বল বাকি থাকতে জয় হাসিল করে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যার ফলে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে চার বারের আইপিএল জয়ী ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
কিন্তু ম্যাচ চলাকালীনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অফিসিয়াল পেজ থেকে ছাড়া একটি টুইটকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। এবারের আইপিএল এ প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি কতটা সক্রিয়, তার প্রমাণ আমরা বহুবার পেয়েছি। কিন্তু এবার বড়সড় গন্ডগোল করে ফেলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টুইটার পেজ, যা থেকে সন্দেহ তৈরি হয়েছে ফিক্সিংয়ের!
গতকাল টসে জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাটিংয়ের। নতুন বলে ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গী হিসেবে দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসেছিলেন অসি পেসার জেমস প্যাটিনসন। ঠিক সেই সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অফিসিয়াল টুইটার পেজ একটি পোস্ট করে সেখানে দিল্লি ক্যাপিটালসের অন্তিম স্কোরের একটি ভবিষ্যতবানী দিয়ে দেয়। সেই টুইটে লেখা ছিল, ১৯.৫ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর ১৬৩/৫, যেখানে খেলা সবে দ্বিতীয় ওভার অবধি গড়িয়েছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে দেখা গিয়েছে, ২০ ওভার দিল্লি ক্যাপিটালস তুলেছিল ১৬২/৪, যা টুইটে দেওয়া স্কোরের প্রায় সমান ছিল।
আর এই নিয়ে নেটিজেনরা আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন, তবে কি এই ম্যাচটি পুরোপুরি গট আপ ছিল? তবে কি এই ম্যাচটি স্ক্রিপ্টেড ছিল? এর আগেও নেটিজেনরা আওয়াজ তুলেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে যে তারা আম্পায়ারদের নাকি উৎসাহিত করেন তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। যদিও সেই অভিযোগ কখনই প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু এবারের এই সন্দেহজনক টুইটকে ঘিরে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে। একাধিক নেটিজেন টুইট করে সেই টুইটে কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-কে মেনশন করছে। পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনকেও মেনশন করা হচ্ছে তাতে।
যদিও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অফিশিয়াল পেজ সেই টুইটটিকে ডিলিট করেছে, কিন্তু নেটিজেনরা সেই টুইটের স্ক্রিনশট তুলে তা ভাইরাল করেছে সর্বত্র। কিন্তু এর জন্য কি ভূমিকা নেবে আইপিএল এর গভর্নিং কাউন্সিল এবং বিসিসিআই এর কর্তারা? পাশাপাশি এই ম্যাচে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। প্রেসিডেন্টের সামনে এই ধরণের যদি কোনও কান্ড ঘটে, তবে তা অবশ্যই লজ্জাজনক হবে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য।