ওর সাথে আমি সব কিছু করতে রাজি ছিলাম, কিন্তু ও বলতো চলো অন্য কিছু করি: মাধুরী

ভারতের বলিউড ইন্ডাষ্ট্রি বিশ্ব জুড়ে সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি বিনোদন মাধ্যম। এই মাধ্যমে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছে। প্রায় সময় এই সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নানা ইস্যু নিয়ে নেটিজনদের মাঝে আলোচনায় উঠে আসেন।

তবে সংসার জীবন নিয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বেশি আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন। সম্প্রতি বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত তার ২১তম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেশ কিছু কথা তুলে ধরেছেন নেটিজনদের উদ্দেশ্যে।

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত আজ ১৭ অক্টোবর, ১৯৯৯ সালের এই দিনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্রীরাম নেনের। আজ তাদের ২১তম বিবাহ বার্ষিকী।

এদিকে ২১ তম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বামী শ্রীরাম নেনের উদ্দেশ্য নিজের ইনস্ট্রাগ্রাম একটি পোস্ট দিয়েছেন মাধুরী। যেখানে তিনি লিখেছেন,

’আমার স্বপ্নের মানুষের সঙ্গে আরো একটি রোমাঞ্চিত বছর পূর্ণ করলাম আজ। আমরা অন্যদের চাইতে খু্ব আলাদা কিন্তু তোমাকে পেয়ে আমি খুবই সুখী। শুভ বিবাহ বার্ষিকী রাম।’

যেভাবে পরিচয় হয় শ্রীরাম নেনের মাধুরীর শ্রীরাম নেনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সিমি গারেওয়ালের চ্যাট শো ’রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’-এ মাধুরী জানিয়েছিলেন ’ওটা ছিল এমন একজনের সঙ্গে দেখা করা যে আমাকে জানত না।

তাই আগে থেকে কোনও দেখনদারি ছিল না। ও দেখাতেই বলেছিল- চলো বাইকে করে পাহাড়ে যাই, আমি যে গত ২০ বছর অন্তত বাইক চড়িনি.. সে বলল ঠিক আছে চলো আমি রেডি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত দন্ত চিকিত্সক ডাঃ শ্রীরাম নেনের কোনও ধারণাই ছিল না মাধুরীর জনপ্রিয়তা, তাঁর স্টারডম সম্পর্কে। এই জনপ্রিয়তা সম্পর্কে নেনে প্রথম টের পান তাঁদের বিয়ের রিপেশন পার্টিতে।

যদিও একাধিক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের মধ্যে কেবল অমিতাভ বচ্চনকেই চিনতে পেরেছিলেন মাধুরীর স্বামী। অপর কোনও বলিউড তারকাকেই তিনি চিনতেন না।

১৯৯৯ সালে বিয়ের পর উজ্জ্বল ফিল্মি কেরিয়ারে ইতি টেনে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারি দেন মাধুরী।সেখানে হাউস ওয়াইফ হিসাবেই কেটেছে মাধুরীর জীবনের বেশ কিছু বছর।

বিয়ের পর দেবদাস (২০০২) ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মাধুরী। এরপর পাঁচ বছরের লম্বা বিরতি। হাউজ ওয়াইফ হিসাবে নিজের জীবন সম্পর্কে তিনি জানান,

’বরের জন্য সকাল সাড়ে পাঁচটায় উঠে ব্রেকফাস্ট বানাতাম। উনি সকাল সকাল তৈরি হতে সার্জারির জন্য বার হতেন, আমি তারপর একটু ঘুম দিতাম। তারপর আমার বাড়ির সব কাজ সমালানো। প্রত্যেকটা মিনিট দুর্দান্ত ভাবে কেটেছে আমার হাউস ওয়াইফ হিসাবে’।

মাত্র পাঁচ মাসের চেনা-জানার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছিলেন মাধুরী। অভিনেত্রীর কথায় ’হয়ত আমার জনপ্রিয়তা আমার সম্পর্কে বাধা হয়ে উঠত যদি এদেশের কাউকে আমি বাছতাম (জীবনসঙ্গী হিসাবে)।

ওর আমাকে নিয়ে কোনও ধারণা ছিল না। আমি আর আমার শাশুড়ি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম আমার পপ্যুলার ছবি ওকে দেখাতে।কিন্তু ওর সেই নিয়ে কোনও আগ্রহ ছিল না। বলত চল না অন্য কিছু করি, বাইরে যাই..খেতে যাই’।

কী কারণে এই ডেনটিস্টের প্রেমে পড়েছিলেন মাধুরী? ’ওর মধ্যে অনেক কিছু জিনিস আছে যেগুলো একদম আমার মতো। আবার কিছু জিনিস আমার থেকে সম্পূর্ন বিপরীত।ওর প্রচন্ডঅ্যাডভেঞ্চারাস-যেটা আমি নই।কিন্তু ওর সঙ্গে সব কিছু করতে রাজি ছিলাম…কিছু একটা ছিল’, অকপট উত্তর মাধুরীর।

দেখতে দেখতে সাফল্যের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনেরও ২১ বছর পার করে ফেলেছেন এই জুটি। দুই ছেলে অরিন ও রায়ানকে নিয়ে সুখের সংসার মাধুরী-শ্রীরামের।

তাঁদের সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠিটা কী? ’আমরা কোনওদিনও একে অপরকে বদলানোর চেষ্টা করিনি। যেটা বিয়ের পর অনেকেই একে অপরকে করে থাকে। ভালো-মন্দ সবটা মিলিয়েই আমি ওকে ভালোবাসি। আমারও দোষ-গুণ সবকিছুই ও মেনে নিয়েছে’।

প্রসঙ্গত, মাধুরী দীক্ষিত বিনোদন অঙ্গনের পরিচিত মুখ। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবেও কাজ করেছেন। দ

র্শক ণন্দিত তার অসংখ্য সিনেমা রয়েছে। তিনি তার নিপুন অভিনয়ের জন্য দর্শক মাঝে বেশ প্রসংশিত হয়েছেন। এবং বর্তমান সময়ে তার রয়েছে অসংখ্য দর্শক জনপ্রিয়তা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.