২০১৮ সালে হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলন বলিউডে ঝড় তুলেছিল। উঠে এসেছিল বহু অভিনেতা পরিচালক ও প্রযোজকদের নাম। সেই সময় একটি নাম বারবার উঠে এসেছিল।
তিনি হলেন প্রযোজক সাজিদ খান। ২০২০-তেও ফের একই কারণে তার নাম খবরে। ভারতীয় মডেল পাউলা জানিয়েছেন তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন সাজিদ। সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্টের মাধ্যমে তিনি এই খবর প্রকাশে আনেন। পাউলা জানাচ্ছেন, হাউসফুল ছবিতে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে নগ্ন হতে বলেছিলেন সাজিদ। এই ঘটনা যখন ঘটে তখন পাউলার বয়স ১৭ বছর।
সেই মডেল ইনস্টাগ্রামে লিখছেন, “হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল তখন অনেকে সাজিদ খানের ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই সময় আমি সাহস পাইনি। কারণ আমার কোনো গডফাদার নেই আর আমায় পরিবারের জন্য অর্জন করতে হয়। তাই চুপ ছিলাম। আমার বাবা-মা এখন আমার সঙ্গে নেই। আমি নিজের জন্য রোজগার করছি। তাই এখন বলার সাহস পাচ্ছি যে, ১৭ বছর বয়সে আমায় হেনস্থা করেছিল সাজিদ খান।”
পাউলা আরো বলছেন, “আমার সঙ্গে অশ্লীলভাবে কথা বলছিল। আমায় স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিল। এমনকি ওর সামনে আমায় নগ্ন হতে বলেছিল। সেটা করলে ও নাকি ওর ছবি হাউসফুল-এ আমায় জায়গা দিত। ভগবান জানেন কতগুলো মেয়ের সঙ্গে ও এরকম করেছে। আমি কোনো দলের জন্য এখন এসব বলছি না।
তবে এটুকু বুঝেছি ওই ঘটনা আমায় খুব খারাপ ভাবে প্রভাবিত করেছিল। তখন আমি অনেকটাই ছোট ছিলাম। তাই কিছু বলিনি। কিন্তু এখন বলার সময় এসেছে।”
পাউলা মনে করেন এর জন্য যথাযোগ্য শাস্তি প্রয়োজন সাজিদ খানের। তিনি লিখেছেন, “এই নোংরা লোকগুলোর জেলের ঘানি পেষা উচিত। শুধুমাত্র কাস্টিং কাউচ নয়। এরা যেভাবে নতুন শিল্পীদের স্বপ্নকে নষ্ট করে তার জন্যও। যদিও আমি থেমে থাকিনি। আমার ভুল হয়েছে আমি তখন কোনো কথা বলিনি।”
ইনস্টাগ্রামের এই পোস্টে ক্যাপশনে পাউলা লিখছেন, “গণতন্ত্র এবং বাক-স্বাধীনতা মৃত্যু হওয়ার আগে আমার মনে হলো এগুলো বলা উচিত”। সাজিদ খান এর আগেও বহু অভিনেত্রীদের অভিযোগের নিশানায় ছিলেন। আর তার জন্য ‘হাউসফুল ৪’ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।