পুজো শেষ। করোনা আবহেই মহাদশমীতে গঙ্গায় বিসর্জন হল উমার। মন খারাপ বাঙালির। অন্যদিকে, আরব আমিরশাহিতেও কার্যত বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল কেকেআরের।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ৪৬তম ম্যাচে শারজার ব্যাটিং উইকেটে দলের টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় আবারও হারলেন মর্গ্যানরা। ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে হাসতে হাসতে আট উইকেটে ম্যাচ জিতে প্লে–অফের আরও কাছে চলে এলেন কেএল রাহুল, ক্রিস গেইলরা।
আসরে শুরুতে খেই হারালেও টানা পাঁচটি জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে লোকেশ রাহুলের দল। সমানসংখ্যক ১১টি ম্যাচ খেলে পাঞ্জাব ও কলকাতা জিতেছে ৬টি করে ম্যাচেই, তবে রান রেট এগিয়ে রেখেছে পাঞ্জাবকে।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা। দলীয় ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইয়ন মরগানের দল। এরপর মরগানের সাথে দলের হাল ধরেন শুবমান গিল। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৮১ রানের পার্টনারশিপ।
তবে সেই পার্টনারশিপ ভাঙতেই আবারো খেই হারায় কলকাতা। ২৫ বলে ৪০ রান করা মরগান বিদায় নিলে গিল অবশ্য অর্ধশতক তুলে নেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে করেন ৫৭ রান।
সতীর্থরা যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠতে না পারায় কমে যায় রানের গতি। শেষদিকে ১৩ বলে ২৪ রান করেন লকি ফার্গুসন। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান জড়ো করে কলকাতা।
পাঞ্জাবের পক্ষে মোহাম্মদ শামি তিনটি এবং ক্রিস জর্ডান ও রবি বিষ্ণই দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৪৭ রান এনে দেন লোকেশ রাহুল ও মানদীপ সিং। রাহুল ২৮ রান করে বিদায় নিলেও ক্রিস গেইলকে নিয়ে মানদীপ দেখেশুনে খেলে যান।
দ্বিতীয় উইকেটে তাদের শতরানের অনবদ্য জুটি অবশ্য জয়ের সাক্ষী হয়ে থাকতে পারেনি। ২৯ বলে ৫১ রান করে বিদায় নেন ২টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকানো গেইল। ৫৬ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত মানদীপ নিকোলাস পুরানকে (২) নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এই ম্যাচ হারায় নাইটদের প্লে–অফে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল। অন্যদিকে, প্লে-অফ লিস্ট অর্থাৎ পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চারে প্রবেশ করলো পাঞ্জাব।
চতুর্থ স্থানে উঠে আসার পাশাপাশি নেট রানরেটেও অনেকটা এগিয়ে গেলেন কেএল রাহুলরা। এখন প্লে–অফে যেতে হলে নিজেদের ম্যাচ জেতার পাশাপাশি অন্যদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে মর্গ্যানদের।