একেবারে মরণবাঁচন ম্যাচ। জিতলে প্লে–অফে যাওয়ার আশা থাকবে। আর হারলে সব শেষ। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা খেলাটা বোধহয় খেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ব্যাটে মর্গ্যান–গিল–ত্রিপাঠিদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর বল হাতে কামিন্স–মাভি–বরুণরা থামিয়ে দিলেন রাজস্থানের ‘বিস্ফোরক’ ব্যাটিং লাইন আপকে। ডু অর ডাই ম্যাচে রাজস্থানকে ৬০ রানে হারিয়ে প্লে–অফের যাওয়ার আশাও বাঁচিয়ে রাখল নাইটরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। আর প্রথম ওভারেই নীতীশ রানাকে আউট করে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেন আর্চার।
কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে গিল–ত্রিপাঠি জুটির পালটা লড়াইয়ে ম্যাচে ফেরে কেকেআর। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৭২ রান।
এরপর দ্রুত গিল (৩৬) এবং তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে নামা সুনীল নারিন (০) আউট হয়ে যান। শূন্য রানে ফিরে যান দীনেশ কার্তিকও। অন্যদিকে, ৩৯ রানে আউট হন ত্রিপাঠি।
শেষপর্যন্ত দলের মরণবাঁচন ম্যাচে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান। ৩৫ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন পাঁচটি চার ও ছ’টি ছয়।
চোটের কারণে শেষ কয়েকটি ম্যাচে বাইরে থাকার পর এদিন ফের প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন রাসেল। তিনি করলেন ১১ বলে ২৫ রান। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৯১ রান তোলে কেকেআর।
এর আগে চলতি আইপিএলেই ১৯০ বা তার বেশি রান তিনবার তাড়া করার নজির রয়েছে রাজস্থানের। শুরুটাও তেমনই হয়েছিল। প্যাট কামিন্সের প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলেই আসে ১৯ রান। কিন্তু তারপরই হঠাৎই ছন্দপতন।
রানের গতি ঠিক রাখলেও পরপর উইকেট পড়ে যায়। একসময় হ্যাটট্রিকের সুযোগও এসে গিয়েছিল কামিন্সের কাছে। স্টোকস ১৮ রান করে আউট হলেও ব্যর্থ হন স্মিথ, স্যামসন, উত্থাপারা। কামিন্স ওই স্পেলেই তুলে নেন তিন উইকেট।
অন্যদিকে, বিপজ্জনক হতে চলা বাটলার (৩৫) এবং রাহুল তেওটিয়াকে (৩১) ফেরান বরুণ। এর মধ্যে দুরন্ত একটি ক্যাচও ধরেন দীনেশ কার্তিক। শেষপর্যন্ত কেকেআর বোলারদের দাপটে ৬০ রান দূরেই থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস। সব মিলিয়ে চার উইকেট নেন কামিন্স।
এদিকে, ইতিমধ্যে বেশ জটিল হয়ে উঠেছে লিগ টেবিলের অঙ্ক। মুম্বইয়ের একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও প্রথম স্থানে থাকা একেবারে পাকা। দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই আরসিবি এবং দিল্লির মধ্যে।
এই দুই দলের মধ্যে যে হারবে সেই দল আবার তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানের জন্য লড়াই করবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতার সঙ্গে। রাজস্থান এবং পাঞ্জাব নিজেদের ম্যাচ হেরে যাওয়ায় লড়াইয়ের বাইরে।
কলকাতার প্লে-অফের যাওয়ার ২টি সুযোগঃ
১। মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদের খেলায় হায়দ্রাবাদ পরাজিত হলে বিনা হিসেবে প্লে-অফে যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কলকাতা ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ স্থানে থাকলে নেট রান রেট -০.২১৪।
অন্যদিকে হায়দ্রাবাদ ১২ পয়েন্ট নিয়ে ৫ম স্থানে থাকলেও নেট রান রেট +০.৫৫৫। তাই মুম্বাইকে হারালেই হায়দ্রাবাদের প্লে-অফ নিশ্চিত।
২। হায়দ্রাবাদ জয় লাভ করলে কলকাতার সীমিত আকারে ১টি সুযোগ থাকে। বেঙ্গালুরু ও দিলীর ম্যাচে যদি কেউ বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত হয় এবং তা যদি কলকাতা নেট রান রেটের থেকে কম হয় তাহলে কলকাতার প্লে-অফ নিশ্চিত।