গ্রাম বাংলার আদিবাসী কিশোরী চাঁদমনি হেমব্রম। তার কন্ঠ ইতিমধ্যে বলিউডের কিংব’দন্তি সংগীতশিল্পী দেন মন কেড়েছে। সম্প্রতি তার জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বলিউডের দরজা। বলিউড স্বী’কৃতি দিয়েছে তার প্রতিভাকে।
বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী নেহা কাক্কারের ও হামসাফার গানটি গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি অর্জন করেছিল চাঁদমনি। বিভিন্ন মহলের কাছে আজ প্রশং’সিত নাম চাঁদমনি হেমব্রম।
এক হ’তদরি’দ্র ঘরের মেয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই খালি গলায় একের পর এক অনবদ্য গান গেয়ে মু’গ্ধ করেছে সকলকে। বাবা প্র’য়াত হয়েছেন ছোটবেলাতেই, মা দিনমজুরের কাজ করে। দশম শ্রেণীতে পড়ছে চাঁদমনি।
পরিবারে আর্থিক অনটন থাকায় পড়াশোনায় সেরকম মনোযোগ দিতে না পারলেও প্রতিভার কমতি নেই তার মধ্যে। তার সুরের জাদুতে মাতোয়ারা নেট দুনিয়া। তার প্রতিভাকে জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন তার দুই শিক্ষক তার পরেই তার প্রতিভা যোগ্য ম’র্যাদা পায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এসে হাজির বলিউডে। তার অদেখা স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। নেহা কাক্কারের গান গেয়ে প্রথমে ভাইরাল হয়েছিল চাঁদমনি। আর সম্প্রতি সেই নেহা কাক্কারের সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জুটি বেঁধেছে চাঁদমনি।
এবার সামাজিক মাধ্যমে নেহা কাক্কার এর সঙ্গে খালি গলায় গান করলো সে। “মিলে হো তুম হামকো” এই গানটি দুজনে একসাথে গেয়েছেন। ভিডিওটি ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে প্রায় এক কোটির বেশি ভিউয়ার্স হয়ে গেছিল সাথে সাথেই।
সকলের কাছে প্রশং’সনীয় এই জুটি। এর আগেও আগস্ট মাসে এই জুনিয়র নেহা কাক্কারের বাংলা গান রিলিজ হয়েছে। “ভালোবেসেছি তাই হেরেছি” এই গানটি সন্দীপন মুখার্জির পরিচালনায় গেয়েছিল।
বর্তমানে সে নেহা কাক্কারের সাথে গান গেয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়েছে নেটিজেনদের। যদিও দুজনের মধ্যে তুলনা করা উচিত হবে না, তারপরেও চাঁদমনির ঈশ্বর প্রদত্ত কণ্ঠের প্রশং’সায় পঞ্চমুখ সকলেই।