গাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। গাড়ির ভেতর থরে থরে রাখা সোনার গয়না।
#বর্ধমান: গাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। গাড়ির ভেতর থরে থরে রাখা সোনার গয়না। যদিও পুলিশ দেখে তার আগেই চম্পট দিয়েছে গাড়ির আরোহীরা। শনিবার সন্ধ্যা নামার মুখে বর্ধমানের নবাবহাটে দু-নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে বর্ধমান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবার হাওড়ায় একটি স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা ওই সংস্থায় গয়না লুট করে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীরা চারচাকা গাড়িতে দু-নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছে বলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের কাছে খবর আসে। সেই সতর্কবার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলাজুড়ে নাকা তল্লাশি শুরু করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। সেই তল্লাশির সময়ই সোনা বোঝাই এই গাড়িটি ধরা পড়ে।
বর্ধমানে আসে হাওড়া সিটি পুলিশের একটি দলও। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান নাকা চেকিংয়ের খবর পেয়ে দুষ্কৃতীরা গাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় সম্ভবত তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়ে মিশে গিয়ে থাকবে। তবুও তাদের হদিশ পেতে সব থানা তল্লাশি চালাচ্ছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটিতে কত পরিমাণে কি গয়না রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে বর্ধমানের বি সি রোডে বর্ধমান থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই একই স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা ব্যাংকের কর্মী অফিসারদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভল্ট খুলে যাবতীয় সোনার গয়নায় নিয়ে মোটর সাইকেলে চম্পট দেয়। যাওয়ার আগে তারা গুলি চালায়। তাতে একজন জখম হয়। ওই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এই ডাকাতির যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। যে চারচাকা গাড়িটি দুষ্কৃতীরা ব্যবহার করেছিল সেই গাড়ির মালিককে তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গাড়ির সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের হদিশ মিলতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। জেলার পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা বর্ধমান থানায় যান।