গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে খুশির খবর গ্রাহকদের; চালু হলো নতুন নিয়ম

গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বড় খুশির খবর গ্রাহকদের; চালু হলো নতুন নিয়ম – কি গ্রাম কি শহর এখন প্রায় সব রান্নাঘরে রয়েছে গ্যাস ব্যবহারের প্রচলন। রান্নার গ্যাস , অর্থাৎ এল পি জি। এই গ্যাস বর্তমানে গৃহস্থালির রান্নার বিষয়টিকে করেছে আরো‌ সহজসাধ্য । ভারতের প্রায় অর্ধেকের‌ও বেশী মানুষ বর্তমানে রান্নার গ্যাসের গ্রাহক। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে

বারবার রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শঙ্কিত হয়েছিলো মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত রাও। প্রতি মাসের শুরুতেই তেল‌সংস্থা গুলো রান্নার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে‌ টাকার মূল্যের সাথে এলপিজির মূল্যকে সামঞ্জস্য রেখে গ্যাসের দাম ঠিক করা হয়। জানা গিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম বেড়েছিলো বলেই রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে গিয়েছিলো। তবে বর্তমানে গ্যাসের দাম সেই

তুলনায় অনেকটাই কমেছে।অনেক সময় এই রান্নার গ্যাস কে ঘিরে বিভিন্ন কালোবাজারি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই নিরিখে গ্যাস সিলিন্ডারে এই কালোবাজারি রুখতে জুলাই মাসে কেন্দ্র সরকার চালু করেছে গ্রাহক সুরক্ষা আইন – ২০১৯। এই আইন অনুসারে গ্যাস সরবরাহ যদি কম হয় অর্থাৎ ওজনে যদি কম হয় তাহলে এজেন্সির বি-রু-দ্ধে ত-দ-ন্ত হবে এবং তার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা

করেছে যে, এখন থেকে গ্রাহকদের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার যখন ডেলিভারি বয় পৌঁছে দেবেন, তখন ডেলিভারি বয় কে গ্রাহকের রেজিস্টার্ড নম্বরে আসা 4 ডিজিটের ওটিপি নম্বরটি দিতে হবে। গ্রাহকের সিলিন্ডার বিলের সঙ্গে ওই ওটিপি নম্বরটি ডেলিভারি বয় যোগ করে নেবেন। গ্রাহকরা যদি সন্দেহ করেন যে,

সিলিন্ডারে গ্যাস পরিমাণে কম রয়েছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ডেলিভারি বয়কে দিয়ে ওই গ্যাস সিলিন্ডারটি ওজন করিয়ে দেখতে পারেন। যদি দেখা যায় যে ওজনে কম রয়েছে, তাহলে সরাসরি গ্রাহকরা এজেন্সির কাছে, অথবা এলপিজির হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করতে পারেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.