চ্যাম্পিয়ন হলে দীনেশ কার্তিককে যে পুরষ্কার দিবেন শাহরুখ খান

বিরাট কোহালিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দ্বৈরথের আগে এক চিয়ারলিডারের উদয় ঘটল নাউট রাইডার্স শিবিরে। সেই চিয়ারলিডার আর কেউ নন, স্বয়ং শাহরুখ খান। মঙ্গলবার উদ্বোধন হয় নাইটদের নতুন ‘থিম সং’-এর। নাম ‘লাফাও’।

সেখানে ক্রিকেটারদের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় মেতে ওঠেন শাহরুখ। বলিউড বাদশার সঙ্গে অনলাইন কনফারেন্সে যোগ দেন প্যাট কামিন্স, লকি ফার্গুসন, দীনেশ কার্তিক, শুভমন গিল, অইন মর্গ্যান, কুলদীপ যাদব, নীতীশ রানা ও কমলেশ নগরকোটিরা।

তরুণ নাইটদের শুরুতেই শাহরুখ আশ্বস্ত করেন, ‘‘বন্ধুরা, আমিও খুব দ্রুত তোমাদের সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে চলেছি। আমি এসে গেলেই আগের মতো পার্টি শুরু হবে। এত দিন যা বন্ধ ছিল। তা পূরণ করে দেওয়ার দায়িত্ব নিলাম।’’

প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন শাহরুখ। প্যাট কামিন্সকে বলে দেন, ‘‘প্যাট কেমন লাগছে আইপিএল? এই যে আমাদের দলে দু’জন তরুণ পেসার রয়েছে, কমলেশ ও মাভি— ওদের কিন্তু তৈরি করে দিয়ো।’’

কামিন্সও বলেন, ‘‘দু’জনেই খুব প্রতিভাবান। যতটা পারি, সাহায্য করি।’’ নাইটদের অন্তক্ষরিতে শাহরুখের ফিল্মের জনপ্রিয় সব গান গেয়ে বারবার জিতে যান কুলদীপ যাদব। সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল এসআরকে।

বলেন, ‘‘কুলদীপ কিন্তু প্রত্যেক অন্তক্ষরিতে আমার গান গেয়ে জিতে যায়। কামিন্সকে আমার কিছু সংলাপ শুনিয়ে দিয়ো।’’ যা শুনে কুলদীপ দ্রুত বলে ওঠেন, ‘‘কিছু হিন্দি সংলাপ শুনিয়ে দিয়েছি। সেগুলো ঝালিয়ে নেয় মাঝেমধ্যে।’’

সদ্য অধিনায়কত্ব হারানো দীনেশ কার্তিক যদিও জানাতে বাধ্য হন যে, তিনি শাহরুখের ভক্ত নন। শাহরুখ তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কার ভক্ত তুমি ডিকে?’’

সদ্য প্রাক্তন নাইট অধিনায়কের জবাব, ‘‘রজনীকান্ত। থালাইভার প্রায় সব সিনেমাই দেখা।’’ শাহরুখ বলে ওঠেন, ‘‘আমার চেয়েও বড় রজনীকান্তের ভক্ত? সংলাপ বলতে পারবে?’’

ডিকেও গড়গড়িয়ে তাঁর ভাষায় রজনীর সংলাপ বলতে শুরু করেন। শাহরুখ তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে আগে কখনও দেখা হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তা হলে রজনী স্যরের সঙ্গে তোমার লাঞ্চ করানোর দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। শুধু ট্রফি এনে দাও। জেতো পরের ম্যাচ।’’

আরসিবি ম্যাচের আগের দিন এ ভাবেই নাইটদের উদ্বুদ্ধ করেন শাহরুখ। তিনিও দেখতে পাচ্ছেন, ৯ ম্যাচে ৫টি জিতে নাইটদের পয়েন্ট ১০। অন্য দিকে ১২ পয়েন্ট আরসিবির।

বুধবার ফের পয়েন্ট নষ্ট হলে, প্লে-অফের দৌড়ে পিছিয়ে পড়তে পারে দল। আগের ম্যাচে সুপার ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরে আর কোনও ধাক্কা চাইবে না কেকেআর শিবির।

প্রথম পর্বের ম্যাচে আরসিবি ৮২ রানে উড়িয়ে দিয়েছিল নাইটদের। এবি ডিভিলিয়ার্স ঝড় নিশ্চয়ই তাড়া করবে বোলারদের। তবু হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় কিছুটা হলেও তাঁদের মনোবল বাড়িয়েছে।

শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে যে নিউজ়িল্যান্ডের ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসনকে শেষ পর্যন্ত খেলানো হয়েছে, সেটা ভাল দিক। আরসিবি ম্যাচের আগের দিন নাইট শিবিরে যোগ দিলেন নিউজ়িল্যান্ডের উইকেটকিপার টিম সাইফার্টও। তবে নাইট শিবিরে এখনও অস্বস্তি কাটেনি তাঁদের দুই প্রধান অস্ত্রকে নিয়ে।

সুনীল নারাইনের বোলিং অ্যাকশন পাশ হয়ে গিয়েছে, তবু তাঁকে আগের দিন খেলানো হয়নি। নতুন অ্যাকশনে নারাইনকে কি আরও তৈরি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে কেকেআর?

অন্য দিকে রাসেলের চোট নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। তবে এমন মরণ-বাঁচন ম্যাচে কেকেআর যে সেরা একাদশ নিয়ে নামতে চাইবে, সন্দেহ নেই। তাই নারাইনকে ফিরতে দেখলে যেমন অবাক হওয়ার থাকবে না, তেমনই চোট নিয়েও রাসেল এখন খেলে গেলে বিস্ময়ের কিছু নেই।

কেকেআর আধিনায়ক অইন মর্গ্যান আবার এ দিন বলেছেন, জৈব সুরক্ষা বলয়ে ক্রমাগত থাকতে গিয়ে যদি মানসিক সমস্যা তৈরি হয়, তা হলে কোনও ক্রিকেট সফর থেকে ক্রিকেটারদের সরে যাওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.