দত্তপুকুর দেবানন্দ মন্ডল হ’ত্যা কান্ডে মূল অভিযুক্ত গৌতম দে এবং নি’হতের স্ত্রী-পুত্র সহ ধৃত তিনজনের পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজত। মূল অভিযুক্ত নি হতের স্ত্রীর প্রেমিকের ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রভূত আলোড়ন ফেলা ঘটনায় পুত্র, স্ত্রী ও স্ত্রী’র প্রেমিকের হাতে নিহত দেবানন্দ মন্ডল খুনে মূল অভিযুক্ত গৌতম দে’র বুধবার বারাসতে আদালতে নেওয়া হল ফিঙ্গারপ্রিন্ট । ১৫ সেপ্টেম্বর দত্তপুকুর থানার বেরো নারায়ণপুরে দেবানন্দ মন্ডলকে গলা কেটে খু’ন করা হয়েছিল মদের আসরে। খু’ন করা হয়েছিল মদের বোতল বা ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে। আর এই হ’ত্যা কাণ্ডের তদন্ত করতে নেমে বারাসত জেলা পুলিশ জানতে পারে নি’হতের স্ত্রী বৃহস্পতি মন্ডল ও তার প্রেমিক গৌতম দে খু’নের ষড়যন্ত্র করে। পুলিশি তদন্তে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর যে বিষয় সামনে আসে তা হল – এই হত্যাকান্ডে নিহতের পুত্র সৌমেন মন্ডলের সক্রিয় অংশগ্রহণ। বারাসত জেলা পুলিশ একে একে হত্যাকান্ডে যুক্ত অভিযোগে বৃহস্পতি, সৌমেন ও প্রেমিক গৌতম দে’কে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত দে’র বারাসত আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। বুধবার অভিযুক্তদের আবার আদালতে তোলা হলে তাদের পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় বারাসাত আদালত।
এরপরেই নি’হতের স্ত্রী বৃহস্পতির প্রেমিক গৌতম দে’র ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়। এই খুনের মামলার ডিফ্যাক্ট লইয়ার গৌতম কুমার সরকার বলেন, মামলা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০বি এবং ২০১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ডিফ্যাক্ট লইয়ার এও জানান, খু’নের অস্ত্র ও প্রমাণাদির সিংহভাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এবং স্বাভাবিক ভাবেই মনে করা হচ্ছে তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে মূল অভিযুক্ত গৌতম দে-র ফিঙ্গার প্রিন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে ।
উল্লেখ্য বুধবার দত্তপুকুরের দেবানন্দ মন্ডল খু’নে ধৃতদের ফাঁসির দাবীতে বারাসত আদালতে বিক্ষোভ দেখায় মৃ’তের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। দত্তপুকুর থানার মোচপোল এলাকার দেবানন্দ মন্ডল খু’ন আগামী দিনে বেশ কিছু নয়া মোড় নিতে চলেছে বলাই বাহুল্য।