সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃ’ত্যু মামলায় শুক্রবার রিয়া চক্রবর্তীকে তলব করল সিবিআই। দশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার সময়ে সান্টাক্রুজ়ের ডিআরডিও-র গেস্টহাউসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রিয়াকে। এখানেই গত সপ্তাহ থেকে রয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
এখানেই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্র’য়া’ত অভিনেতার সমস্ত সঙ্গীদের। সিবিআই সূত্রের খবর, রিয়ার বয়ান রেকর্ড করেছেন নূপুর প্রসাদ।
তিনিই মুম্বইয়ে আসা সিবিআই দলটির ভারপ্রাপ্ত অফিসার। ১০টা ৪০-এ গেস্টহাউস পৌঁছন রিয়া। রাত ন’টার পরে সেখান থেকে বেরোন। সিবিআই সূত্রের খবর, কাল বা অন্য কোনও দিন ফের ডাকা হবে রিয়াকে।
রিয়ার সঙ্গেই সিবিআই তলব করেছিল তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকেও। এর আগেও শৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এদিন শৌভিক ও রিয়াকে আলাদা আলাদা ঘরে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, যাতে তাঁদের বয়ানে কোনও অসঙ্গতি থাকলে সহজেই ধরা পড়ে।
শুক্রবার রিয়াকে মূলত যেই প্রশ্নগুলি করা হয় সেগুলি হল-
সুশান্তের মৃ’ত্যুর খবর তাঁকে কে দিল? তখন তিনি কোথায় ছিলেন?
খবর পেয়ে রিয়া কি সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন? যদি তা না হয়, তা হলে তিনি কোথায়, কখন সুশান্তের মৃ’ত দেহ দেখলেন?
তিনি কেন ৮ জুন সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান?
ফ্ল্যাট ছেড়ে যাওয়ার আগে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কি ঝগড়া হয়েছিল?
সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে, ৯ জুন ও ১৪ জুন, এই ছ’দিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে কি সুশান্তের কোনও কথা হয়েছিল?
এই ছ’দিনের মধ্যে সুশান্ত কি নিজে থেকে রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন? রিয়া কি সেই সব ফোনকল বা মেসেজের উত্তর দেননি? কেন?
সুশান্ত কি এই সময়ে রিয়ার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন? তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল?
সুশান্তের কী কী শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছিল? তাঁকে কোন কোন চিকিৎসক ও মনোবিদ দেখতেন? তিনি কী কী ওষুধ খেতেন?
সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক কী রকম ছিল?
রিয়া কেন সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন? তাঁর কী ধারণা হয়েছিল যে, সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে কোনও অপরাধমূলক কাজ রয়েছে?