ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়া প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় টেস্টে সেই রোহিতের ব্যাটেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা।







চেন্নাইয়ে প্রথম দিন শেষে ইংলিশদের বিপক্ষে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ৩০০ রান।
প্রথম টেস্টে অসাধারণ জয় পেলেও দ্বিতীয় টেস্টে ঘূর্ণি পিচে টস জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। তাতে শুরুর ব্যাটিংয়ের সুবিধাটা পেয়েছে স্বাগতিকরাই।
তার পরেও প্রথম দিন বল যেভাবে স্পিন করেছে ও অসমান বাউন্স দিয়েছে, তাতে বিপদের মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয়রাও!
অন্তত ইনিংসের সূচনাতে তেমনই হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারে শুভমান গিলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন অলি স্টোন।







চেতেশ্বর পূজারা ও রোহিত মিলে সেই ধাক্কা সামাল দিলেও এই জুটি বেশি বড় হয়নি। লাঞ্চের আগেই ২১ রানে ব্যাট করতে থাকা পূজারাকে তালুবন্দী করেন জ্যাক লিচ।
এক ওভার পর অধিনায়ক বিরাট কোহলিও বোল্ড হন মঈন আলীর অসাধারণ এক স্পিনে।
দ্রুত দুই উইকেট পড়ে গেলে এক প্রান্তে প্রতিরোধ গড়েন রোহিত। রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস সমৃদ্ধ করতে থাকেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল ডাবল সেঞ্চুরিও তুলে নিতে পারবেন।
কিন্তু ব্যক্তিগত ১৬১ রানে তাকে ফিরিয়েছেন স্পিনার জ্যাক লিচ। তাতে ভাঙে ১৬২ রানের বড় জুটি। রোহিত আউটের পর মাঠে ঘটে অদ্ভুদ ঘটনা।
ডিআরএস নিয়ে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে একটি বড় বিরোধ লেগেছিল। অন ফিল্ড আম্পায়ার অজিঙ্ক রাহানেকে নট আউট হিসাবে ঘোষণা করার পরে, ইংল্যান্ড দলটি ডিআরএসের ব্যবহার চেয়েছিল।







কিন্তু সেখানে তৃতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরী ইংল্যান্ডের আবেদনের কারণটি সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি এবং রাহানকে নট আউট বলে অভিহিত করেছেন।
যদিও এরপরে, রাহানেকে পুনরায় রিপ্লে পর্দায় দেখা গিয়েছিল এবং সেটিতে দেখা গিয়েছে, আউট ছিলেন অজিঙ্ক রাহানে।
আর সেই নিয়ে জো রুট অন ফিল্ড আম্পায়ারদের সাথে কথা বলার পরে ইংল্যান্ডের নষ্ট হওয়া রিভিউ আবারও ফিরে আসে।
দিনের ৭৫ তম ওভারে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছিল। জ্যাক লিচের বলে রাহানের গ্লাভ ছুঁয়ে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ ফিল্ডার অলি পোপের হাতে ক্যাচ এসেছিল।
ইংল্যান্ড আবেদন করেছিল কিন্তু অন ফিল্ড আম্পায়ার তা ফিরিয়ে দিয়েছিল এবং তৃতীয় আম্পায়ার অনীল চৌধুরী লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছে বল এই ভেবে রিভিউ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কিন্তু ইংল্যান্ড দল ক্যাচের আবেদন করেছিল।
তবে ইংল্যান্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা ব্যাটকে নয়, গ্লাভস স্পর্শ করে বলটি ধরার আবেদন করছে।







বড় পর্দায় রিপ্লে দেখে রুট হতাশ হয়েছিলেন এবং অধিনায়ক অন ফিল্ড আম্পায়ারদের সাথে বিষয়টি নিয়ে গিয়েছিলেন।
অনিল চৌধুরীর প্রত্যাখ্যান করার কারণে ইংল্যান্ডও একটি রিভিউ হারায়। তবে ইংল্যান্ডের এই পর্যালোচনা আইসিসি (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল) খেলার নিয়ম ৩.৬.৮ এর অধীনে পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।
কয়েক বল পরে মইম আলির বলে ৬৭ রানে অজিঙ্ক রাহানে বোল্ড হন।
এর পর শেষ বিকালে পান্ত-অশ্বিন মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। অশ্বিনকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন জো রুট।
মূলত শেষ সেশনেই ভারতের তীব্র প্রতিরোধ ভাঙে ইংল্যান্ড। ৩৬ রানে তুলে নেয় গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট। ক্রিজে আছেন পান্ত (৩৩) ও অক্ষর প্যাটেল (৫)।
ইংলিশদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জ্যাক লিচ ও মঈন আলী। একটি করে নিয়েছেন অলি স্টোন ও জো রুট।






