শত্রুর শত্রু..বন্ধু। অনেকটা সেই পরিস্থিতিতেই রয়েছে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিনের সম্পর্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকবার চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। আমেরিকার তরফ থেকেও হুঁশিয়ারি এসেছে চিনের জন্য। এবার শোনা যাচ্ছে নতুন তথ্য।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পদ ছাড়ার আগে শেষ কামড় দিয়ে যেতে পারেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভুত মারাত্মক করোনা পরিস্থিতির জন্য চিনকে বরাবর দায়ি করেছেন ট্রাম্প। এবার হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিশেষ কোনও ঘোষণা করে চিনকে কড়া শিক্ষা দিতে পারেন তিনি বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস ছাড়েননি ট্রাম্প। তাই মনে করা হচ্ছে পদ ছাড়ার আগে চিনের সঙ্গে শত্রুতার রেশ বজায় রেখে যাবেন তিনি। সাউথ চায়না মর্ণিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মার্ক ম্যাগনিয়ার। তিনি জানাচ্ছেন ট্রাম্পের মূল টার্গেট হয়ে উঠতে পারে চিন। খুব কড়া কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন তিনি। যার মাধ্যমে স্পষ্টই অস্বস্তিতে পড়তে পারে পরবর্তী জো বাইডেন প্রশাসন।
একই কথা বলছেন চিনের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেফ মুনও। তাঁর দাবি ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন করোনা ছড়ানোর জন্য চিনকে শাস্তি পেতেই হবে। সেই পথেই হাঁটতে পারেন তিনি। সেজন্য দুটো রাস্তা খোলা রয়েছে তাঁর সামনে। এক, চিনের আধিকারিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসার রাস্তা বন্ধ করে দিতে পারেন, তাঁদের ভিসা নিষিদ্ধ করতে পারেন। দুই, ২০২২ শীতকালীন বেজিং অলিম্পিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারেন তিনি।
তবে ট্রাম্প যাই করুন না কেন, আখেরে লাভবান হবে ভারত। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানিয়ে ছিলেন বিশ্বের যে কোনও দেশের কাছ থেকে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত পড়লে পাশে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সবসময়ই আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে।
চিন সঙ্গে টানাপোড়েন অব্যাহত ভারতের। এরই মধ্যে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর মার্কিনী বার্তায় রক্তচাপ বাড়বে চিনের, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লাদাখে যেভাবে বারবার চিন আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, তাতে সীমান্ত পরিস্থিতি সুবিধার নয়। তবে তৈরি রয়েছে ভারত। কৌশল গত দিক থেকে এই মুহুর্তে আমেরিকা সমর্থন ভারতের প্রয়োজন, চিনকে মোকাবিলা করার জন্য।