পশ্চিমবঙ্গবাসীদের জন্য 2000 টাকার নোট নিয়ে বড় দুঃসংবাদ দিলো RBI

– প্রায় বছর চার আগে অর্থাৎ ২০১৬ তে সব থেকে আলোচ্য ও গুরুত্বপূর্ন বিষয় ছিল ‘নোটবন্ধী’ । কেন্দ্রীয় সরকার তথা বলা বাহুল্য মোদি সরকার এর তত্বাবধানে এই নোটবন্ধী প্রক্রিয়া চালু হয় । বাজারে পুরোনো ৫০০ আর ১০০০ এর নোট মূলত বাতিল এর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার । কিন্তু তার সাথে প্রতিশ্রুতি দেয় যে খুব তাড়াতড়ি নতুন ভাবে আসবে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট । কিন্তু প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেখা মেলেনি সেই নোটের।

মূলত পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার জাল নোট ছেঁয়ে গিয়েছিলো বাজারে । তাই এরম সিদ্ধান্ত একপ্রকার নিতে বাধ্য হয় সরকার । পরিবর্তে আসে ২০০০ টাকার নোট । ঝাঁ চকচকে একদম রঙীন এই নোট বাজারে আসাতে জাল নোট আটকানো নিয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছিলো সরকার । কিন্তু তার ও আর উপায় রইলো না । বাজারে কমছে আসল নোটের সংখ্যা, বাড়ছে নকল ২০০০ নোট। এমনটাই জানা যাচ্ছে RBI এর তরফ থেকে ।

এর ফলে চিন্তার ভাঁজ সাধারণ মানুষেরও । তবে RBI বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে যা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাবে নোটটি আসল না নকল । RBI থেকে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী নোটটির সামনের দিকে ও পিছনের দিকে বেশ কিছু জিনিস ভালো মতো লক্ষ্য রাখলে ব্যাপার টা পরিষ্কার হবে

● সামনের দিকে :-
১) স্বচ্ছ রেজিস্টার আলোয় ধরলে টাকার অঙ্কটি পরিষ্কার 2000 দেখা যাবে।
২) ওই নোটকে ৪৫% কোণে ধরলে টাকার অংক স্পষ্ট 2000 বোঝা যাবে।
৩) 2000 টাকার সংখ্যাটি দেবনাগরি হরফে লেখা থাকবে।
৪) নোটের মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকবে।
৫) নোটের মধ্যে RBI এবং 2000 মাইক্রো অক্ষরে লেখা থাকবে।
৬) নোটটি একসাইডে কাত করলেই থ্রেডের রং সবুজ থেকে নীল হয়ে যাবে। একইভাবে ডানদিকে নিচের ২০০০ লেখাটি সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তন হবে ।
৭) মহাত্মা গান্ধীর ছবি ও ইলেক্ট্রটাইপ (2000) জলছবি থাকবে।
৮) নম্বর প্যানেল, ছোট থেকে বড় হয়ে আসবে নম্বর গুলো
৯) একেবারে ডানদিকে অশোক স্তম্ভের ছবি থাকবে ।

● পিছনের দিকে :-
১)২০০০ টাকার নোটটি কোন সালে ছাপা হয়েছে তা লেখা থাকবে।
২) নোটের পিছনের অংশে স্বচ্ছ ভারত এর লোগো ও স্লোগান থাকবে।
৩) কেন্দ্রের কাছাকাছি নোটটির বিভিন্ন ভাষায় লেখা থাকবে।
৪) এমনকি মঙ্গল অভিযানেরও ছবি থাকবে ।

সম্প্রতি বাজারে ছেড়ে যাওয়া এই জালনোট থেকে আপনিও সাবধান হোন । উপরের তথ্যগুলো একটু ভালো মতন অনুধাবন করলেই আপনি এই প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।তবে সূত্রের খবর এই জাল নোটের সংখ্যার দিয়ে প্রথমে আছে গুজরাট । গুজরাট থেকে প্রাপ্ত জাল নোটের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ।শোনা যায় পাকিস্তান থেকে ২০০, ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট ভারতে প্রবেশ করেছে অবাধে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবাংলা।

সেখানে প্রায় ১০ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাঞ্জাব। সূত্রের খবর পাঞ্জাব থেকে এখন অবধি প্রাপ্ত জাল নোটের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ।কি ভাবে এই নোট বাজারে অবাদে চলছে সে বিষয়ে নজর রাখছে সরকার । খুব তাড়াতড়ি এর সমাধান নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে ভারত সরকার ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.