করোনা ভাইরাস থেকে কবে মুক্তি পাবে বিশ্ব, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন এখন প্রত্যেকে। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে কিছুটা আশার আলো তৈরি হয়েছে। অবশেষে আশার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হু চিফ তেদ্রস আধানম ঘেব্রেসাস বলেন, দু’বছরের মধ্যে করোনা অতিমারী থেকে মুক্তি পাবে বিশ্ব। বিশ্ব থেকে স্প্যানিশ ফ্লু বিদায় নিতে যা সময় লেগেছিল, তার থেকেও কম সময়ে করোনাভাইরাস বিদায় নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেডকোয়ার্টারে বসে এদিন তিনি বলেন বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের একটা খারাপ দিক রয়েছে, যার জন্য অতি দ্রুত বিদ্যুৎ গতিতে করোনাভাইরাস সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আবার বর্তমানে একটা ভাল দিকও রয়েছে আর তা হল উন্নত প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন সহ একাধিক উপায়ে ব্যবহার করে স্প্যানিশ ফ্লু এর থেকেও কম সময়ের মধ্যে আমরা করোনা থেকে মুক্তি পাবো।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে চার লক্ষ মানুষের। বিশ্ব জুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ। কিন্তু হিসেব বলছে, আধুনিক ইতিহাসে সবথেকে মারাত্মক অতিমারী হল স্প্যানিশ ফ্লু। স্পানিশ ফ্লু-তে মৃত্যু হয়েছিল ৫০ মিলিয়ন বা পাঁচ কোটি মানুষের। আর বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন মানুষ।
আমেরিকাতে প্রথম ধরা পড়েছিল এই ভাইরাস। পরে তা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। এই অতিমারীর তিনটি ওয়েভ এসেছিল, তার মধ্যে সব থেকে মারাত্মক ছিল সেকেন্ড ওয়েভ, যার শুরু ১৯১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে।
পরে সেই ভাইরাস একটা সাধারণ ফ্লু এর আকার নেয়, সিজনাল বা ঋতুভিত্তিক হয়ে পড়ে। হু-এর এক কর্তার কথায় এভাবেই অনেক অতিমারীর ভাইরাস পরবর্তীকালে ঋতুভিত্তিক ভাইরাসে পরিণত হয়।
এদিকে, ভারতে মোট কোভিড আক্রান্ত ২৯ লক্ষ পেরিয়েছে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬৮,৮৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯৮৩ জনের। একদিনের সংখ্যার যোগফল ২৯,০৫,৮২৪ জন। যাদের মধ্যে ৬,৯২,০২৮টি অ্যাক্টিভ কেস। এখনও অবধি সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন ৫৪,৮৪৯ জন। মারণ করোনায় একাহ্নো প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪,৮৪৯ জন।
প্রায় ২১ লাখ রোগী এখনও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার সকালের সুস্থতার হার ৭৪.৩০ শতাংশ। করোনা ভাইরাসে এখনও মৃত্যু হয়েছে ৫৪,৮৪৯ জনের।
ভারতে এখনও অবধি প্রায় ৩.৩ কোটি স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে। গতকাল থেকে ৮.০৫ লাখ স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। পজিটিভিটির হার ৮.৫৪ শতাংশ।