করোনার আবহে যখন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা একেবারে থমকে গিয়েছে তখন পোস্ট অফিস তাদের গ্রাহকদের জন্য দুরন্ত স্কিম নিয়ে আসছে।







এর আগেও লকডাউন এর মাঝে আরো অনেক স্কিম নিয়ে এসেছে পোস্ট অফিস। বর্তমানে এখনও মানুষেরা পোস্ট অফিসে টাকা রাখে কারণ এখানে টাকা রাখলে গ্রাহকেরা সব থেকে সুরক্ষিত মনে করেন।
এখানে কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই টাকা জমানো যায়। তাই যে সমস্ত গ্রাহকেরা কোনো প্রকার ঝুঁকি না নিয়ে ভালো লাভ করতে চান তাহলে তাদের জন্য এই স্ক্রিমের জুড়ি মেলা ভার।আপনাদের জানিয়ে দিই এটি একটি স্মল সেভিংস স্কিম।
আপনিও পোস্ট অফিস থেকে এই ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট কিনতে পারেন এটাকে আমরা NSC বলে থাকি।







এখানে আপনি ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে যে সুদ পান তার থেকে বেশি সুদ পাবেন। এবারে এই স্কিম সম্বন্ধে আপনাদের কিছু তথ্য দেওয়া হল।
এই স্কিমে যারা টাকা সঞ্চয় করবেন তারা 6.8 শতাংশ সুদ পাবেন বর্তমানে। অপরদিকে যদি আমরা ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করি তাহলে এর থেকে অনেক কম সুদ পাওয়া।
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা রাখলে গ্রাহকরা আরো একটি বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন যেটি হল, এখানে গ্রাহকেরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পেয়ে থাকেন।
তাই এই স্কিমে টাকা রাখা অনেকটাই লাভজনক। তবে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ 5 বছরের জন্য এই স্কিমে টাকা রাখতে পারেন।







পাঁচ বছর সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আবার ওই টাকা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য টাকা রাখা যাবে। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা NSC ম্যাচিওর হয় পাঁচ বছর পর।
কিন্তু কোনো গ্রাহক যদি এক বছর পর এখান থেকে টাকা তুলতে চায় তাহলে তিনি টাকা তুলতে পারবেন।
আপনি যদি এক্ষেত্রে সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে 10 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তবে পরবর্তী 5 বছরে 7.4 শতাংশ (যৌগিক) সুদের হারে ম্যাচিউরিটির সময় মোট টাকা দাঁড়াবে 14 লক্ষ 28 হাজার 964 টাকা।
অর্থাৎ 4 লক্ষ 28 হাজার 964 টাকা পাওয়া যাবে সুদ হিসেবে। যেহেতু এই স্কিমটি পুরোপুরি সরকারের তরফ থেকে আনা হয়েছে তাই আপনার প্রাপ্য সুদ আপনি গ্যারান্টি সহ পাবেন।







যদি আপনি এই স্কিমে পাঁচ বছরের জন্য 10 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে পাঁচ বছর পর আপনি সুদ সহ মোট টাকা পাবেন 13 লক্ষ টাকা।
এই টাকা যদি আপনি ব্যাংকে 5 বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করেন তাহলে এই পরিমাণ টাকা লাভ হবে না। সুতরাং আর দেরি না করে আপনি আপনার নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে সাধ্যমত এই স্কিমে টাকা রেখে দিন।