দেশে এই মুহূর্তে হুহু করে বেড়ে চলেছে বেকারত্ব। করো’নার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই বেকারের সংখ্যা। এর পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও অনেক যুবক যুবতীরা বাড়িতে বসে আছে।







করে যাচ্ছে চাকরীর চেষ্টা ।কিন্তু বর্তমান বাজারে চাকরি মেলা দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাই সেই সমস্ত বেকার সমাজের কথা ভেবে এগিয়ে এলো পশ্চিমব’ঙ্গ রাজ্য সরকার ।
এ রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা যাতে নিজেদের চেষ্টায় ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারে তার জন্য সাহায্য করবে সরকার ।
একটি বিশেষ স্কীম এর মাধ্যমে এই সাহায্য করা হবে যার নাম” কর্ম সাথী প্রকল্প “। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর এরাজ্যে যুবক-যুবতীদের দেওয়া হবে সরকারি লোন ।
কেউ তারা পুঁজির অভাবে ব্যবসা করার কথা ভাবতে না পারে তাই এ ধরনের সি’দ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । দেখে নেওয়া যাক কর্ম সাথী প্রকল্প কিভাবে আবেদন করা যাবে ।
প্রতি বছর ১ লাখ যুবক-যুবতীদের এই সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে । এর পাশাপাশি এই প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার ।







আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ‘হতে হবে । এর পাশাপাশি আবেদনকারীকে অষ্টম শ্রেণীর পাশ করতে হবে । থাকতে হবে বৈধ সার্টিফিকেট।
তবে এ সংক্রা’ন্ত আরো তথ্য তুলে ধ’রা হয়েছে পশ্চিমব’ঙ্গ সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেখানে । আবেদন করার সময় আপনার যে সমস্ত নথি লাগবে সেগু’লি হল
ক)পরিচয়ের প্রমাণ (ছবি-সহ)।
খ) স্থায়ী বাসিন্দার সাটিফিকেট।
গ) শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ।
ঘ) বয়সের উপযুক্ত প্রমাণপত্র।
ঙ) এসসি / এসটি / ওবিসি / সংখ্যালঘু / বিশেষ ভাবে সক্ষম আবেদনকারীদের জন্য সংশ্লিষ্ট শংসা’পত্র।
চ) প্রকল্পের রিপোর্ট ।







এর পাশাপাশি ভর্তুকি এবং লোন দেওয়া সম্পর্কে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমব’ঙ্গ রাজ্য সরকার।
নির্দেশিকা অনুসারে বলা হয়েছে যে নিজস্ব মূলধন হিসেবে প্রকল্প মূল্যের ৫ থেকে ১০ শতাংশ টাকা জোগাড় করতে হবে আবেদনকারীকেই।
ক) ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীকে ৫ শতাংশ অর্থের সংস্থান করতে হবে।
খ) ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীকে জোগাড় করতে হবে ১০ শতাংশ।
গ) তফসিলি জাতি-উপজাতি, সংখ্যালঘু ও মহিলা আবেদনকারীদের জন্য সব ক্ষেত্রেই এই অংশীদারিত্ব ৫ শতাংশ।
ভর্তুকির পরিমাণ কত হবে সে ব্যাপারে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার সেটি হল
ক) প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রকল্প মূল্যের ১৫ শতাংশ অর্থ শুরুতেই ভরতুকি হিসেবে দেবে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর। বাকি ৭৫ অথবা ৮০ শতাংশ টাকা কম সুদে দেবে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক।







খ) সুদ সঠিক ভাবে সময়মতো পরিশোধ করলে মোট সুদের ৫০ শতাংশ সরাসরি ফেরত পাবেন উদ্যোগী।
যদি আপনি এটি আবেদন করতে চান অফলাইনে তাহলে এই কর্ম সাথী প্রকল্পের ফর্ম পাওয়া যাব’ে
ক) গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষেত্রে বিডিও,
খ) জে’লার পুরসভা এলাকার জন্য এসডিও,
তাহলে চিন্তা কিসের আজি লোন নিয়ে ফেলুন আর খুলে ফেলুন আপনার ছোট্ট একটি ব্যবসা হয়ে উঠুন স্বাবলম্বী ।






