এবার মুম্বই পুলিশ এবং কুপার হাসপাতালকে শো কজ নোটিশ পাঠাল মহারাষ্ট্রের রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। ২৫ অগস্ট এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
কমিশনের প্রধান এম এ সইয়দ বলেন, ‘আমি বেশ কিছু ভিডিয়ো ক্লিপ দেখেছি যেখানে স্পষ্ট যে রিয়া চক্রবর্তী কুপার হাসপাতালের ম’র্গে ঢুকেছিলেন।’
সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহের ম’য়’না’ তদন্তের সময়ে কীভাবে রিয়া হাসপাতালের ম’র্গে ঢুকলেন সেই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। সইয়দ জানান, ‘আমরা জানি না কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে রিয়াকে ম’র্গে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এটা কোনওভাবেই হওয়া উচিত ছিল না।’
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্যে মুম্বই পুলিশ এবং কুপার হাসপাতালকে আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে।
তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, একান্তই যদি কেউ ম’য়’না’ তদন্তের সময়ে ম’র্গে ঢোকার অনুমতি পান তাঁকে মৃ’ত ব্যক্তির পরিবারের কোনও সদস্য হতে হবে। কিন্তু রিয়া চক্রবর্তী সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের অংশ ছিলেন না। ফলে ম’র্গে ঢোকার অধিকারও তাঁর নেই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, সুশান্তের দেহের ম’য়’না’ তদন্ত যে হাসপাতালে হয়েছিল, সেই কুপার হাসপাতালের ম’র্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কাটিয়ে বেরিয়ে আসছেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুশান্তের চর্চিত গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী।
তিনি কী ভাবে নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়লেন এবং এতক্ষণ সময় কাটালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। এই মামলার অন্তরালে যে প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তির হাত রয়েছে, তা এই ফুটেজে স্পষ্ট বলে ধারণা অনেকের।
টাইমস নাওয়ে প্রকাশিত কুপার হাসপাতালে রিয়ার সময় কাটানোর খবর ট্যুইট করে তুলে ধরেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। তাঁর প্রশ্ন, ম’য়’না’ তদন্ত চলার সময় কি রিয়া ঘরের ভেতরেই ছিলেন?
এখানেই শেষ নয়। সোমবার তাঁর আরও একটি দাবিতে ছড়ায় চাঞ্চল্য। মৃত্যুর দিনই দুবাই-এর একজন ড্রা’গ ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এসেছিলেন অভিনেতার বাড়িতে। তার নাম আয়েশ খান।
সোমবার নিজের ট্যুইটারে এমন তথ্যের উল্লেখ করে ফের জল্পনা উস্কে দিন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘সুশান্তের খু’ন হওয়ার দিন দুবাইয়ের ড্রা’গ ব্যবসায়ী আয়েশ খান দেখা করেছিলেন অভিনেতার সঙ্গে। কেন?’