মুসলিমদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করি নাঃ ভারতীয় ‍কিংবদন্তী

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে কিংবদন্তি বলা হয়। বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে বিভিন্ন রাজ্যের হয়ে ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছেন ওয়াসিম জাফর। কয়েক বছর আগেই অবসর নেওয়ার পর তিনি উত্তরাখণ্ডের রঞ্জি দলের হেড কোচ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন।

ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতিত্বের গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়াসিম। জাফরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। কেউ বলেছেন, বায়ো বাবলে থাকতে তিনি নাকি মৌলভীর সাহায্য চেয়েছিলেন।

দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তিনি নাকি মুসলিম ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিয়েছিলেন। এসব অভিযোগের জবাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাফর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলো খুব গুরুতর। আমার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা খুব দুঃখজনক।

সেই কারণেই এসব কুৎসার বিরুদ্ধে কথা বলতেই আমার এখানে আসা।’ জাফর আরো বলেন, ‘আপনারা তো অনেক দিন থেকেই আমাকে জানেন, আপনারা আশা করি আমাকে খুব ভালো করেই চেনেন। আমার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো সাজেশন আমি নিইনি।

যারা সৈয়দ মুস্তাক আলীতে খেলেছে, তাদের সবার ওপর বিশ্বাস রেখে খেলিয়েছি। শেষ ম্যাচের জন্য সামাদ ফাল্লাকেও পর্যন্ত আমি বসিয়েছি। আমি সাম্প্রদায়িক হলে সামাদ ফাল্লা, মোহাম্মদ নাজিম প্রত্যেকটা ম্যাচে খেলত, তাই না? এটা অত্যন্ত ক্ষুদ্র ব্যাপার।

এ ধরনের ক্ষুদ্র চিন্তাভাবনা আমি কোনো দিন করি না।’ ক্রিকেটারদের ‘জয় শ্রী রাম’ বা ‘জয় হনুমান’ না বলতে নির্দেশ দেওয়া নিয়ে জাফর বলেন, ‘এ রকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমাদের হাডেলে বলা হতো ‘রানি মাতা সাচ্চে দরবার কি জয়’।

কখনো কাউকে আমি ‘জয় শ্রীরাম’ বা ‘জয় হনুমান বলতে শুনিনি বা কাউকে বাধাও দিইনি। আমি যদি সাম্প্রদায়িক হতাম তাহলে কি জয় বিস্তাকে নিয়ে আসতাম দলে? আমি তো তাকে অধিনায়ক করার সুপারিশও করেছিলাম। নির্বাচকদের মনে হয়েছিল ইকবাল আবদুল্লাহ বেশি যোগ্য ও প্রতিভাবান। তাই তাকেই অধিনায়ক করা হয়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.