১২ বারের মধ্যে দশবারই প্লে–অফে। নির্বাসন থাকায় মাঝে দু’বছর বাদ। এই ১০ বারের মধ্যে আবার আটবারের ফাইনালিস্ট। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন।
এককথায় আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল। কিন্তু ২০২০ সালের আইপিএলে এ যেন অন্য চেন্নাই। না ফর্মে আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, না ফর্মে আছে তাঁর দল।







মহাসপ্তমীর রাতে ক্রিকেটপ্রেমীরা বরং সাক্ষী থাকলেন মুম্বইয়ের দুই পেসারের তাণ্ডবের। একজন ট্রেন্ট বোল্ট। অন্যদিকে, জসপ্রীত বুমরাহ। বোল্ট নিলেন চার উইকেট। বুমরাহ পেলেন দু’উইকেট।
আর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া রোহিতের অনুপস্থিতিতেই মুম্বই ১০ উইকেটে হারাল চেন্নাইকে। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার দশ উইকেটে হারল সুপার কিংস।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়। বোল্ট–বুমরাহর সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন ধোনিরা।







প্রথম তিন রানেই চার উইকেট পড়ে যায়। এরপর দলের ২১ রানের মাথায় ফেরেন জাদেজা। ১৬ রান করে আউট হন ধোনিও। তখন চেন্নাইয়ের রান মাত্র ৩০। চাহারও ফিরে যান শূন্য রানে।
এই সময় পালটা লড়াই শুরু করেন স্যাম কুরান। কার্যত একাই লড়াই করেন। ৪৭ বলে ৫২ রানের সৌজন্যেই চেন্নাইয়ের রান ১০০–র গণ্ডি পেরোয়। শেষদিকে কিছুটা সাহায্য করেন শার্দুল ঠাকুর (১১) এবং ইমরান তাহির (১৩*)।
নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের রান ওঠে ন’উইকেটে ১১৪ রান। বোল্ট ১৮ রান দিয়ে একাই নেন চার উইকেট। বুমরাহ এবং রাহুল চাহার নেন দু’টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের অভাব একাই ঢেকে দেন ইশান কিষান। ডি’কক–কিষানের ওপেনিং জুটিই মুম্বইকে জয় এনে দেন।
কিষান করেন অপরাজিত ৬৮ রান। তাও মাত্র ৩৭ বলে। মারেন পাঁচটি চার ও দু’টি ছয়। ডি’কক করেন অপরাজিত ৪৬ রান। শেষপর্যন্ত ১২.২ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বই।







এই হারের ফলে প্লে–অফ থেকে কার্যত ছিটকেই গেলেও কঠিন একটি সমীকরণে প্লে-অফে থাকতে পারে ধোনিরা। তার জন্য অবশ্যই ধোনীদের আগামী ৩ ম্যাচ ভাল রান রেট নিয়ে জয় লাভ করতে হবে। ৩ ম্যাচ জয়লাভ করার পর ধোনিদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য সব দলের দিকে।
কলকাতা ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্টস টেবিলের ৪র্থ স্থানে আছে। বাকি ৪ ম্যাচের মধ্যে কলকাতা ১টি ম্যাচ খেলবে পাঞ্জাবের সাথে। সেই ম্যাচে যদি কলকাতা জয়লাভ এবং বাকি ৩ ম্যাচে যদি হারে তাহলে কলকাতার পয়েন্টস হবে ১২।
আবার হায়দ্রাবাদের বাকি আছে ৪ ম্যাচ। চার ম্যাচে মধ্যে ২টি হারলে হায়দ্রাবাদের পয়েন্টস হবে ১২। ২টি জয়ের মধ্যে পাঞ্জাবকে অবশ্যই হারাতে হবে।







অন্যদিকে পাঞ্জাবেরও ম্যাচ বাকি রয়েছে ৪টি। পাঞ্জাব যদি কলকাতা ও রাজস্থানের সাথে জয়লাভ করে এবং বাকি ২টা ম্যাচ পরাজিত হয় তাহলে তাদের পয়েন্টস হবে ১২।
বাকি থাকলো রাজস্থান রয়েলস। তাদের ম্যাচ বাকি আছে ৩টি। রাজস্থান রয়েলস যদি পাঞ্জাব ও কলকাতার সাথে হারে তাহলে সমীকরণ মিলে চেন্নাইয়ের পক্ষে যাবে। সেক্ষত্রে নিট রান রেটে চেন্নাইয়ের প্লে-অফ খেলার সম্ভাব্যনা রয়েছে।






