ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ, তবে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন প্রথমবার। অভিষেকে ব্যাট করতে না পারার আক্ষেপ ছিল। তাইতো পরের ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমেই নাম লেখালেন রেকর্ডবুকে।







বলা হচ্ছে পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির কথা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং করতে নেমেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি।
যা প্রায় ১৮ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল। আফ্রিদির এই শতকের সাথে জড়িত আছে ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের নামও।
অনলাইনে ‘দ্য গ্রেটেস্ট রাইবেলেরি’ পডকাস্টে পাকিস্তান দলে আফ্রিদির দীর্ঘ দিনের সতীর্থ আজহার মেহমুদ দিয়েছেন এমন তথ্য। নাইরোবিতে সেই টুর্নামেন্টেই অভিষেক হয়েছিল লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার আফ্রিদির।
আজহার জানান, শুরুতে সেই টুর্নামেন্টে দলে ছিলেন না আফ্রিদি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘এ’ দলের হয়ে তখন সফরে ছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু আরেক লেগ স্পিনার মোশতাক আহমেদ চোটে পড়লে ডাক পড়ে আফ্রিদির।







কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিং পাননি আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে দ্রুত রান আনতে তাকে নামানো হয় তিন নম্বরে।
আজহার জানান, লঙ্কান দুই ওপেনারের কথা ভেবেই অমন কৌশল নিয়েছিল পাকিস্তান, ‘শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার জয়সুরিয়া আর কালুভিথারানা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করত।
তিন নম্বরে খেলানোর জন্য তাই আমাদের একজন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান দরকার ছিল। তখনকার অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম আমাকে ও আফ্রিদিকে দলে নেন।
নেটে আমি বল বুঝে খেলেছিলাম, কিন্তু আফ্রিদি নেটেই বোলারদের বেধড়ক পেটাতে থাকে, পরে তিন নম্বরে জায়গা হয় তার। নেটে নজরকাড়া আফ্রিদি ম্যাচে নেমে ৪০ বলে ১১ ছক্কা আর ৬ চারে করেন ১০২ রান।
এরমধ্যে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে গড়েন রেকর্ড, সেদিন আফ্রিদি যে ব্যাট নিয়ে নেমেছিলেন সেটি ছিল ভারতের মাস্টার ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের, পরদিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন নম্বরে পাঠানো হয় আফ্রিদিকে।







ওয়াকার ইউনুস শচিন টেল্ডুলকারের কাছ থেকে একটা ব্যাট পেয়েছিল। আফ্রিদি ওই ব্যাট নিয়েই খেলতে নেমে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড করে। এরপর তো সে ব্যাটসম্যান হয়ে যায়। তার আগে ও ছিল একজন বোলার যে জোরে ব্যাট চালিয়ে চার-ছক্কা মারতে পারে।’
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে আফ্রিদির রেকর্ড ভেঙ্গে দেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি করে নতুন রেকর্ড গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার এবিডি ভিলিয়ার্স। ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড এখনো আছে তার কাছেই।






