মধ্যগগনে আইপিএল। করোনা আবহে দুবাইয়ে সরিয়ে নিয়ে গেলেও উত্তেজনা এতটুকু কমেনি। একের পর এক রেকর্ড যেমন ভাঙছে। তেমনই এমন ঘটনা ঘটছে যা আগে কখনও ঘটেনি।
গত রবিবার এক ম্যাচে জোড়া সুপার ওভারের সাক্ষী থেকেছে আইপিএল’১৩। মঙ্গলবার আরও একটি অনন্য রেকর্ডের সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। আর এই রেকর্ডটি গড়লেন শিখর ধাওয়ান।







পরপর দু’ম্যাচে শতরান করার। যদিও তাঁর এই দুরন্ত ব্যাটিং দলের কোনও কাজে লাগল না। প্রীতির কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরে গেল দিল্লি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স। শুরু থেকে অন্য মেজাজেই ব্যাট করতে থাকেন ধাওয়ান। আগের ম্যাচেই নিজের টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরানটি পেয়েছিলেন।







এদিন কিংস ইলেভেনের বিরুদ্ধে পেলেন আরও একটি শতরান। অর্থাৎ পরপর দু’ম্যাচে দু’টি। যা আইপিএলের ইতিহাসে আর কারোর নেই। এছাড়া পাঁচ হাজার রানও পূর্ণ করলেন ‘গব্বর’।
মূলত তাঁর ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে দিল্লির রান ওঠে পাঁচ উইকেটে ১৬৪ রান। ৬১ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন ধাওয়ান। মারেন ১২টি চার এবং ৩টি ছয়। পাঞ্জাব বোলারদের মধ্যে শামি এদিনও দুরন্ত বল করেন। তুলে নেন দু’টি উইকেট।
১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মায়াঙ্কের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। দ্রুত ফিরে যান রাহুলও (১৫)। শেষপর্যন্ত পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গেইল–পুরান জুটি।







তবে ‘ইউনিভার্সাল বস’ সবেমাত্র বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দিতে শুরু করেছিলেন, তখনই তাঁকে ফেরান অশ্বিন। ১৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন গেইল। এরপর পুরান–ম্যাক্সওয়েল জুটি দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে এসে ফের আগের ম্যাচগুলোর মতোই যেন খেই হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। পরপর আউট হয়ে যান পুরান (৫৩) ও ম্যাক্সওয়েল (৩২)। শেষপর্যন্ত নিশাম এবং হুডা এক ওভার বাকি থাকতে পাঞ্জাবকে জয় এনে দেন।
এই জয় দিয়ে এখনো প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাঞ্জাব। কারণ এখনো কোনো দলই প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারেনি। পয়েন্ট টেবিলের ১ম দল দিল্লী খেলেছে ১০টি ম্যাচ। তার মধ্যে ৭টি জয় নিয়ে ১৪ পয়েন্ট নিজেদের করে রেখেছে।







তারপরও তাড়াও এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি প্লে-অফ। দিল্লী যদি বাকি ৪টা ম্যাচ হেরে যায় তাহলে পড়তে পারে বিপদে। অন্য দিকে পাঞ্জাব যদি বাকি ৪টা ম্যাচ জয় লাভ করতে পারে তাহলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে তাদের।
তবে ৪টার মধ্যে ৩ ম্যাচ জয় লাভ করলেও আশা থাকবে পাঞ্জাবের কিন্তু তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য সব দলের দিকে।






