সু’শান্ত সিং রা’জপুতের মৃ’ত্যুর মামলার তদন্তে যুক্ত হয়ে (এ’নসিবি) একের পর এক নতুন নতুন সব খবর দিচ্ছে। এবার সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুরকে সমন পাঠাতে যাচ্ছে এ’নসিবি।
শিগগিরই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে। বৃহস্পতি বা শুক্রবার ‘হাই প্রোফাইল’ এই দুই বলিউড তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। এর মধ্যে এ’নসিবি প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করবে।
মা’দক কে’লে’ঙ্কারিতে বলিউডের যে ২৫ তারকার নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে আছেন সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুল প্রীতসহ আরও অনেকে। বলা হচ্ছে, এখানেও রয়েছে রা’জনীতি।
আড়ালে রয়ে গেছেন বেশ কিছু হাই প্রোফাইল তারকা। ‘কেদারনাথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় থেকেই মা’দক নিতে শুরু করেছিলেন সু’শান্ত। এমন দাবি রি’য়া চ’ক্রবর্তীর। তা ছাড়া ব্যাংককের হোটেলে টানা তিন দিন কাটিয়েছিলেন সারা ও সু’শান্ত, ত’দন্তে তা বের হয়ে এসেছে।
‘কেদারনাথ’ সিনেমার শুটিংয়ের প্রচারণার সময় সারা আর সু’শান্ত নাকি প্রেমে জড়িয়েছিলেন। পরে সারাই সু’শান্তের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানেন। যদিও এখন পর্যন্ত এসব নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি সারা।
আর সু’শান্তের লোনাভোলা ফার্ম হাউসের ব্যবস্থাপক রইস এবং স্থানীয় নৌকাচালক জগদীশ দাস জানিয়েছেন, সু’শান্ত এক দ্বীপে গিয়ে প্রায়ই পার্টি করতেন।
আর এই পার্টিতে উপস্থিত থাকতেন সারা আলী খান, রি’য়া চ’ক্রবর্তী, শ্রদ্ধা কাপুরসহ সু’শান্তের ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু। জায়েদ বিলাত্রার মতো কুখ্যাত ড্রা’গ সরবরাহকারীও এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন। ওই মাঝির দাবি, এসব পার্টিতে সাধারণত গাঁ’জা আর ম’দের আসর বসত।
এ’নসিবি সূত্রে মিলেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর খবর। মা সন্ধ্যা চ’ক্রবর্তীর ফোন থেকে নাকি মা’দকসংক্রান্ত সব যোগাযোগ চালাতেন রি’য়া। ই’নফো’র্সমেন্ট ডাইরেকটরেট বরাবর মায়ের ফোনটি জমা দেননি রি’য়া।
পরে রি’য়ার বাড়িতে ত’ল্লাশি চালাতে গিয়ে ফোনটি বা’জেয়া’প্ত করে এ’নসিবি। সেই ফোন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, হো’য়াটসঅ্যা’পে একাধিক মা’দ’ক লেনদেন গ্রুপের সদস্য ছিলেন রি’য়া।
সু’শান্তের মৃ’ত্যু-তদ’ন্তে মা’দ’কের যোগসূত্রে রি’য়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চ’ক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়েছে তাঁদের। আপাতত বাইকুল্লা জেলে বন্দী রি’য়া।
মেঝেতে মাদুর পেতে অন্য আসামির মতো থাকতে হচ্ছে তাঁকে। শুক্রবার মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালতে রি’য়ার জামিনের আবেদন খারিজ হয়। আজ সোমবার রি’য়া ও শৌভিকের আইনজীবী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।
আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে জানিয়েছেন, জামিনের আবেদন নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চান না তাঁরা। ভেবেচিন্তে প্রস্তুতি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।