জীবনের সবথেকে কঠিন মুহূর্ত বার্ধক্য অবস্থা।অনেকেই সারাজীবন সঞ্চয় করে রাখেন নিজের বৃদ্ধাবস্থার জন্য।এই বয়স কালের সুরক্ষার জন্য যদি আপনাকে একটি সুন্দর সঞ্চয় পদ্ধতি দেওয়া হয়।তাহলে!আসুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক এই জরুরি বিষয়ে।
এমন একটি সঞ্চয় পদ্ধতি যেখানে,যেখানে মাসে মাসে আপনি যে টাকা দেবেন সেটা আপনার গায়েও লাগবে না, অথচ আপনার বার্ধক্যে আপনার সবচেয়ে বড় সম্বল হবে।
এটি আদতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি স্কিম, যা ২০১৫ সালের বাজেটে তখনকার অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৫ সালের ৯মে এই কলকাতাতেই এর উদ্বোধন হয়।
অটল পেনশন যোজনা নামক এই স্কিমটির নাম অনেকেই শুনে থাকবেন।মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন তাঁদের কথা মাথায় রেখে এই স্কিম।
যারা সরকারি অফিসে বা কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করেন তাঁদের জন্য তো সংশ্লিষ্ট অফিস পি.এফ কেটে নেয় আর নিজেরাও কিছু অংশ দেন।
সুতরাং সংগঠিত ক্ষেত্রে পেনশনের ক্ষেত্রে আলাদা কিছু ভাবতে হয় না। কিন্তু যারা ধরুন ছোট দোকান চালান, বা একশো দিনের কাজ করেন তারা কীভাবে টাকা সঞ্চয় করবেন!!
কতটা সুরক্ষিত তাঁদের বার্ধক্য।তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই এই স্কিম। প্রধান মন্ত্রী জন ধন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এই স্কিম জড়িত।
এটির সুবিধা পেতে গেলে আপনার একটি জন ধন অ্যাকাউন্ট ব্যাঙ্কে থাকা আবশ্যক।আর তার সাথেই বয়স হওয়া দরকার ১৮ এর কোটায়।এবার আসা যাক কিভাবে পাবেন এর টাকা সেই বিষয়ে।মনে রাখবেন ৪০ বছরের পর কিন্তু আর অ্যাকাউন্ট খোলা যাবেনা।
কিন্তু আগে খুলে নিলে ৪০ এর পরেও টাকা রাখতে পারবেন। আপনি প্রতি মাসে কত টাকা পেতে চান বৃদ্ধাবস্থায় ৬০ বছরের পর থেকে সেটা আপনাকে আগে থেকে ঠিক করতে হবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক?কত টাকা পাওয়া যাবে মাসে?মানে আপনি মাসে সর্বোচ্চ পেতে পারেন ৫০০০ টাকা।৫০০০ টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রতি দিন সবচেয়ে বেশি ৭ টাকা জমাতে হবে।যেভাবে আপনার সুবিধে টাকা জমা দিতে পারেন আপনি।
সঞ্চয়কারী মা-রা গেলে সেই টাকা আজীবন পাবেন তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীও মা-রা গেলে যার নামে নমিনি থাকবে তখন তিনি সম্পূর্ণ টাকাটা পাবেন একসঙ্গে।