সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদের ঘনঘন যাতায়াত তাঁরা অনেকেই জানেন এই ভিডিয়োর ব্যাপারে। কেন চারদিকে হচ্ছে এত চর্চা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনকয়েক ধরে ট্রেন্ড করছে শ্যামনগর। সেখানের তিন লোকের এক ভিডিয়ো নিয়েই যত চর্চা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে গুগল সার্চ সবজায়গাতেই লেখা হচ্ছে ‘শ্যামনগর’! পুরো কেস আপনি জানেন তো?
উত্তর ২৪ পরগনার এক আপাত শান্ত এলাকার নাম হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরার কারণ শুনলে আপনিও হয়তো অবাক হবেন। তিনজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত অর্থাৎ থ্রিসামের ভিডিয়ো হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে। আর রীতিমতো ঝড় বইতে থাকে। এখন সবাই সেই ভিডিয়োর লিঙ্ক আর ছবি চেয়ে বেড়াচ্ছেন একে-অপরের থেকে।
জানা গিয়েছে, যে তিনজন ওই ভিডিয়োতে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা হলেন স্বামী-স্ত্রী এবং স্ত্রী-র বোন। নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো কেন তাঁরা শ্যুট করেছিলেন সেটাই প্রশ্ন উঠছে।
তবে নেটপাড়ার বড় একটা অংশ যখন এই নিয়ে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখাচ্ছে সেখানে আরেকাংশ মনে করছে, ‘এভাবে কারও ব্যক্তিগত মুহূর্ত ছড়িয়ে দেওয়া অপরাধ। এবং তা নিয়ে হাসাহাসি বা খিল্লি করাটা মানবিক দিক থেকে অনুচিত।’
এই ভিডিয়োর খবর কানে উঠেছে প্রশাসনেরও। ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমি ব্যাপারটা শুনেছি। সমাজের সব স্তরে ভালো বা খারাপ লোক আছে।
কিন্তু কিছু খারাপ লোকের জন্য একটা জায়গার নাম কখনও কলুষিত হতে পারে না। এগুলিকে বেশি গুরুত্ব দিলে তা আরও প্রচারের আলোয় চলে আসে। বেটার টু ইগনোর। এসব নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। তাতে আগ্রহ আরও বাড়বে। ভিডিয়ো আরও ছড়িয়ে পড়বে।’
আপত্তি জানাচ্ছেন শ্যামনগরের বাসিন্দারাও। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ‘একটু প্রচার পাওয়ার লোভে মানুষ আজকাল কত কী করছে। কখনও ভাবিনি আমার এলাকার নামও এভাবে উঠে আসবে।
ফেসবুক-টুইটারে ঠাট্টার পাত্র হবে একটা গোটা এলাকার মানুষ। আমার মনে হয় প্রশাসনের উচিত এই ভিডিয়োর পিছনে কে বা কারা আছে তা সবার আগে খুঁজে দেখা। কারণ এই ধরণের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া তো অপরাধের মধ্যে পড়ে বলেই জানি।’
প্রসঙ্গত, এই ভিডিয়োর ব্যক্তিরা চাইলেই সাইবার ক্রাইমে মামলা করতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল শাস্তি। এই একই ঘটনা আগেও করে থাকলে কারাবাসের মেয়াদ হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত। এছাড়াও অভিযুক্ত ব্যক্তির হতে পারে সাত থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।