প্রথম বলটি করার আগেও মজাটি মনে পড়েনি। সপ্তম ওভারের প্রথম বলটা শর্ট ফাইন লেগে পাঠালেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যাটসম্যানদের প্রান্ত বদলের মাঝে একটু করে দেখা মিলল উইকেটের পেছনে থাকা পার্থিব প্যাটেলের।







তখনই খেয়াল হলো, পার্থিব প্যাটেলের টেস্ট অভিষেক যেদিন হয়েছিল তখনো জন্ম হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সপ্তম ওভার করতে আসা এই লেগ স্পিনারের! মাত্র ১৬ বছর ১৫৭ দিন বয়সে আইপিএল অভিষেক হয়েছে প্রয়াস রায় বর্মণের।
২০০২ সালের ৮ আগস্ট প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন পার্থিব। আর আজ যে প্রয়াসের বলে কিপিং করছিলেন, সেই প্রয়াসের জন্ম সে বছরের ২৫ অক্টোবর। এ শতাব্দীতে বয়স সংক্রান্ত সবচেয়ে মজার গল্পটা পার্থিব প্যাটেলকে নিয়ে।







ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ব্যাট করতে নেমে প্যাটেলের স্লেজিং শুনতে হয়েছিল স্টিভ ওয়াহকে। ওয়াহর মতো ব্যক্তি সেটা সহ্য করবেন কেন?
সরাসরি বলেছিলেন, ‘একটু সম্মান দেখাও, ১৮ বছর আগে যখন টেস্ট অভিষেক হয়েছিল আমার, তখনো ন্যাপি পরতে তুমি।’
১৯ বছর বয়সী প্যাটেল সে কথা গিলতে বাধ্য হয়েছিলেন। আজ বয়স নিয়ে মজার উল্টো দিকটাও দেখতে হচ্ছে প্যাটেলকে।







প্যাটেলের ঘটনাটি কাকতাল। তবে বাঙালি ছেলে বর্মণের আইপিএলে রেকর্ড গড়া নিশ্চিত ছিল এবার। আইপিএলে সবচেয়ে কম বয়সে খেলতে নামার রেকর্ড ছিল মুজিব-উর-রহমানের।
গত বছর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে ১৭ বছর ১১ দিন বয়সে আইপিএল অভিষেক হয়েছিল এই রহস্য–স্পিনারের। সে রেকর্ড ভাঙা নিশ্চিত হয়েছে এবারের আইপিএলের নিলামে।
১৬ বছর ৫৪ দিন বয়সে নিলামে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও বাংলা দলের এই লেগ স্পিনারকে ১.৫ কোটি রুপির বিনিময়ে দলে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।







এক কিশোরের জন্য এত অর্থ ব্যয়ই বলে দিয়েছিল, এ আইপিএলে অভিষেক হচ্ছেই তার। আর এবার একটি ম্যাচে নামলেই ভেঙে যাবে মুজিবের রেকর্ড।
সে রেকর্ডটা আজ হলো। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে মুগ্ধও করেছিলেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে জনি বেয়ারস্টোর রুদ্রমূর্তির সামনে পড়ে অবশ্য ১৮ রান দিতে হয়েছে তাকে।







শেষ দুই ওভারেও দিয়েছেন ৩২ রান। বেঙ্গালুরুর অবস্থাও ভালো নয়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার ১৬ ওভার শেষেও অবিচ্ছিন্ন ছিলেন। স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ১৮৪ রান। এতে অবশ্য বর্মণের রেকর্ড গড়ার কীর্তি তো হারাচ্ছে না!