ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস।







বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত আইপিএলের ১৪তম আসরের নিলামে ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে মরিসকে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
নিলাম তালিকায় ৪০ নম্বরে থাকা মরিসের ভিত্তিমূল্য ছিল ৭৫ লাখ রুপি। নিলামে নাম উঠার পর প্রথমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৭৫ লাখে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এরপরই শুরু হয় অন্যান্য দলের দাম হাকানো।
মুম্বাই ছাড়াও অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসকে নিয়ে আগ্রহ দেখায় প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং রাজস্থান রয়্যালস। তারা ১৬ কোটি ২৫ লাখ দরে কিনতে রাজি হলে আর কেউ আগ্রহ দেখায়নি।







মরিসের আগে আইপিএলে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছিলেন ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। ২০১৫ সালে ১৬ কোটি রুপিতে যুবরাজকে দলে নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে এর আগে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটার ছিলেন প্যাট কামিন্স। গত বছর ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কামিন্সকে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু হঠাতই ক্রিস মরিসের উপর এত অর্থ কেন দিল রাজস্থান রয়্যালস, সে নিয়ে কার্যত মাথা চুলকোচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমনকি এটি নিয়ে সমালোচনা ও ট্রোলে মেতে উঠেছে ক্রিকেট দুনিয়া। রাজস্থান রয়্যালস নিশ্চই কোনও পরিকল্পনা নিয়েই ক্রিস মরিসকে নিয়েছে।







দলের সাথে ক্রিস মরিসকে সংযুক্ত করার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে, আর সেই পরিকল্পনা সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের ডিরেক্টর কুমার সাঙ্গাকারা। সাঙ্গাকারার মতে, মরিসের কাজ হবে তারকা ইংরেজ পেসার জোফ্রা আর্চারকে সাপোর্ট করা।
ভার্চুয়াল কথোপকথনে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, “নিলামের কথা এলে মরিসকে খুব বেশি দামে কিনে নেওয়া হয়েছে।
(জোফ্রা) আর্চারকে সাপোর্ট করার জন্য মরিস আমাদের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা আর্চারকে যেভাবে ব্যবহার করি, তাতে মরিসের সংযুক্তিকরণ আমাদের আরও নমনীয়তা দেবে।”







৪৩ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারা বলেছেন,
“একই সময়ে, যখনই মরিস ফিট ছিল, তার পরিসংখ্যান আইপিএলে সেরা ছিল এবং খেলায় প্রভাবের দিক থেকেও তিনি সেরা। সুতরাং এইভাবে, এগুলি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা অন্যভাবে আর্চারকে ব্যবহারের বিষয়ে ভাবতে পারি।”
এরপর নিজেদের পেস বোলিং বিভাগ নিয়ে প্রশংসা করে কুমার সাঙ্গাকারা বলেছেন,
“আমাদের এজে (অ্যান্ড্রু) টাই, মুস্তাফিজুর (রহমান) এবং তারপরে আরও তরুণ ভারতীয় ফাস্ট বোলার রয়েছে। এতে আমরা আরও কিছু সংমিশ্রণ খেলাতে পারব এবং মরিস এতে খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।”






