২২৫ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিং দেখে ৮ নাম্বার পজিশন থেকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে সফল কলকাতা নাইট রাইডার্স

শেষ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে নেমে ছিল ৮ নাম্বার পজিশনে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমেই তাক লাগিয়ে ছিলেন সবাইকে। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ১৬ বলে করেছিলেন ৩৬ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ২২৫। তাছাড়া কলকাতার ব্যাটিং অর্ডার বিতর্ক তো আছেই। তাই ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেই খেলা শুরু করে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

নারায়নকে সরিয়ে ওপেনিং করতে নিয়ে আসে আগের ম্যাচের মারমুখি রাহুল ত্রিপাটিকে। ওপেনিংয়ে নেমে তার সুনাম ঠিকি রক্ষা করতে পেরেছে রাহুল ত্রিপাটি। কলকাতার সবাই একে পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেও রাহুল একাই করেছেন ৮১ রান এবং কলকাতার খাতায় ১৬৭ রানের স্কোর লিখিয়েছেন।

এদিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। ওপেনিংয়ে চমক দিয়ে শুভমান গিলের সঙ্গে এদিন নামেন রাহুল ত্রিপাঠী। শুরুটা দুরন্ত করেন শুভমান কেকেআরের নতুন ওপেনিং জুটি।

কিন্তু ওপেনিং পার্টনারশিপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি নাইটদের। পঞ্চম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে ১১ রান করে আউট হন শুভমান গিল। ৩৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ে কেকেআরেরে। অরদিকে থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠী।

একের পর এক আক্রমণাত্বক শট খেলে তাকে ওপেনিংয়ে নামানোর সিদ্ধান্ত যে ঠিক তা প্রমাণ করেন তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে শেষে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ৫২ রানে ১ উইকেট।

পাওয়ার প্লের শেষে রানের গতিবেগ আরও বাড়ান রাহু ত্রিপাঠী। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার চেষ্টা করেন নীতিশ রানা। কিন্তু নবম ওভারে করণ শর্মার বলে আউট রানা। মাত্র ৯ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুত রান তোলার জন্য নামেন সুনীল নারিন।

অপরদিকে দুরন্ত ইনিংস খেলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে পেলেন রাহুল ত্রিপাঠী। ১০ ওভার শেষে নাইটদের স্কোর দাঁড়ায় ৯৩ রানে ২ উইকেট। ১১ তম ওভারে করণ শর্মার বলে আউট হন নারিন। ১৭ রান করেন তিনি। এরপর নামে ইয়ন মর্গ্যান।

রাহুল ত্রিপাঠীর সঙ্গে তিনি এগিয়ে নিয়ে যান কেকেআরের ইনিংস। ১৩ ওভার শেষে নাইটদের স্কোর হয় ১০৯ রানে ৩ উইকেট। ১৪ তম ওভারে চতুর্থ উইকেট পড়ে কেকেআরের। স্যাম কুরানের বলে আউট হন ইয়ন মর্গ্যান। তিনি করেন ৭ রান। এরপর ক্রিজে আসেন আন্দ্রে রাসেল। ১৫ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ১২৮ রানে ৪ উইকেট।

ব্যাট হাতে এদিনও নিরাশ করেন আন্দ্রে রাসেল। ১৬ তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন রাসেল। ১৬ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ১৩৩ রানে ৫ উইকেট। ১৭ তম ওভারে শেষ হয় রাহুল ত্রিপাঠীর ইনিংস।

৫১ বলে ৮১ রান করে ডোয়েইন ব্রাভোর বলে আউট হন তিনি। পরপর উইকেট পড়ায় রান রেট কিছুটা কমে যায় কেকেআরের। ১৮ তম ওভারে কিছুটা আক্রমণাত্বক রূপ নেন প্যাট কামিন্স।

শার্দুল ঠাকুরের বলে একটি ৪ ও একটি ৬ মারেন তিনি। ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১৫৪ রানে ৬ উইকেট। ১৯ তম ওভারে স্যাম কুরানের বলে দীনেশ কার্তিক আউট হন ১২ রান করে। ১৯ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১৬২ রানে ৭ উইকেট।

শেষ ওভারে আরও দুটি উইকেট পড়ে কেকেআরের। ব্রাভোর বলে নাগোরকোটি ও শিবম মাভি। শেষ বলে রান আউট হন বরুণ চক্রবর্তী। ২০ ওভার শেষে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। স্কোর দাঁড়ায় ১৬৭ রান। সিএসকের টার্গেট ১৬৮ রান।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.