২ বছর ধরে নি’খোঁজ ১০ বছরের শি’শু, একদিন বাবার চোখ পড়ল আলমারিতে

একটি শি’শু যার বয়স ১০ বছর, এবং একদিন হ’ঠাৎ তার নিজে’র ঘর থেকে সে অদৃ’শ্য হয়ে যায়।এই সন্তানের বাবা-মা’র কী’ হবে তা ভেবে দেখু’ন।

এবং একদিন সেই সন্তানের ঘরে কিছু দে’খতে পান, দেখে সন্তানের বাবা হ’তবাক হয়ে যায়। এটি একটি কা’ল্পনিক গল্প একটি সত্য ঘ’টনা , এটি বি’স্তারিতভাবে পড়ুন,

উত্তর আ’মেরিকার বাসিন্দা ড্যানিয়েল প্রায় ৪ বছর আগে একটি নতুন বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন এবং তার পরিবারের স্ত্রী’ সারাহ, দুই ছে’লে টম এবং জ্যাকবকে নিয়ে থাকেন। পুরো পরিবারটি খুশি হয়েছিল এবং তারা অ’নুভব করেছিল যে তাদের জীবনে অনেক সুখ রয়েছে, তবে তাদের ক্ষেত্রে এটি ঘ’টেনি।

একদিন যখন সকলেই রাতের খাবারের টেবিলে বসে ছিলেন, মা সারা দেখেন যে জ্যাকব এখনও নামেনি, তিনি নিজে’র ঘরে আরও থাকতেন। তাই মা সারা তার ঘরে গিয়ে জ্যাকবকে ফোন ক’রতে চলেছে।

তিনি দেখেন যে তার শি’শু ঘরে নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগে জ্যাকব এমনভাবে নিখোঁ’জ হয়েছিলেন, এটি প্রথমবার নয়। তাই মা বাইরে তাকে খুঁ’জতে শুরু করেন।

প্রায় দুই ঘন্টা অনুসন্ধা’নের পরে যখন জ্যাকবকে পাওয়া যায় না, তখন তার বাবা এবং মা দুজনেই পু’লিশে খবর দেয়। জ্যাকব তখন 8 বছর বয়সে ছিল। পু’লিশ দীর্ঘদিন ধ’রে জ্যাকবকে তল্লা’শি করেছে তবে তাদের কোনও স’ন্ধান নেই।

ড্যানিয়েল তার ছে’লেকে খুব ভালবাসতেন এবং প্রতিদিন তাকে কোথাও না কোথাও খোঁ’জ ক’রতেন এবং সর্বদা তাঁর স্ম’রণে কাঁ’দতেন। জ্যাকবের স্মৃ’তিতে তারা মা’তালও হয়েছিল।

তার সন্তানের সন্ধান ক’রতে গিয়ে 2 বছর কে’টে গেছে, কিন্তু জ্যাকবকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। একটা সময় ছিল যখন সবাই বুঝতে শুরু করেছিল যে জ্যাকব আর এই পৃথিবীতে নেই। মা সারা এবং ড্যানিয়েল বুঝতে পারছিলেন না কী’ভাবে এই জাতীয় শি’শু হ’ঠাৎ উ’ধাও হয়ে গেল।

ড্যানিয়েল যাকোবকে স্ম’রণ করে তার ঘরে গিয়ে ঘর প’রিষ্কার ক’রতে শুরু করে, যাকোবের স্মৃ’তি মুছে ফেলতে শুরু করে এবং যখন তাকে এমন কিছু দেখে অ’বাক করে দেয়, তখন সে দে’খতে পায় যে জ্যাকবের পোশাকের পিছনে কিছু রয়েছে।

যত্ন সহকারে পরীক্ষা করার পরে, পাওয়া গেল যে টেপ’টি দেয়ালে আ’ট’কানো হয়েছিল। যখন তারা টেপ’টি সরিয়ে ফেলল, তখন একটি হ’ল দেখা গেল। ড্যানিয়েল হ’লটি বড় করে দেখেন এবং দেয়ালের পিছনে একটি অন্ধকার ঘর দে’খতে পান। ড্যানিয়েল ভি’তরে গেলে তিনি তার পুত্র জ্যাকবের জুতো দে’খতে পেলেন।

যাকোবের জুতো দেখে ড্যানিয়েল কাঁ’দতে লাগলেন এবং তিনি কিছুটা অদ্ভু’ত অ’নুভব করলেন এবং কাছ থেকে দেখে তিনি দে’খতে পেলেন যে হা’তুড়ি, ক’রাত এবং অন্যান্য জিনিস রয়েছে।

মেঝেতে একটি জিনিস ছিল এবং একটি দ’র্শনীয় স্থান দেখা গেল। চশমাটি দেখে তিনি বুঝতে পারলেন যে এই চশমাগু’লি তার প্রতিবেশীর to সে সেখান থেকে দৌড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে জো’রে জো’রে তাদের দরজা ঠেলা শুরু করে।

প্রতিবেশী দরজা খোলার সাথে সাথে ড্যানিয়েল জো’রে গ’লা চে’পে ধ’রে জিজ্ঞাসা করলেন তার ছে’লে কোথায়, তার জ্যাকব কোথায়? প্রতিবেশী একটি ঘরের দিকে ইশারা করে পা’লিয়ে গেল।

ড্যানিয়েল যখন ঘরে ঢুকলেন তখন তিনি দে’খতে পেলেন প্রচুর কমিক পড়ে আছে এবং তার ছে’লে জ্যাকবও সেই গাদা বসে বসে কমিক পড়ছিলেন।

দেখে মনে হচ্ছিল কমিকস কখনও শে’ষ হচ্ছে না। শি’শুটি তার বাবার দিকে তাকিয়ে তাকে জ’ড়িয়ে ধ’রে কাঁ’দতে শুরু করে। পিতা এবং পুত্র উভয়ই একে অ’পরের মধ্যে কাঁ’দতে বেরিয়ে আসে, তারপরে দেখবেন প্রতিবেশী এবং তার স্ত্রী’ উভয়ই নি’খোঁ’জ রয়েছে।

ড্যানিয়েল দ্রুত ১১৯ নম্বরে ফোন করে এবং পু’লিশকে স’ম্পূর্ণ তথ্য দেয়, প্রতিবেশীরা বেশি দূ’রে যাওয়ার আগে পু’লিশ তাকে ধ’রে ফে’লে।

এবং অনুসন্ধানে জা’না গেছে যে প্রতিবেশীর নাম হেক এবং তার স্ত্রী’র নাম ক্যারোলিন। উভয়ের কোনও সন্তান নেই এবং তারা সন্তানের অ’ভাবে জ্যাকবকে অ’পহ’রণ করেছিল।

ক্যারোলিন বলেছিলেন যে তিনি সবসময় তাঁর সন্তানের মতো জ্যাকবকে লালন-পা’লন ক’রেছেন এবং এই দু’বছরই তাঁর জীবনের সেরা বছর। তবে অন্য কারও বাচ্চাকে অ’পহ’রণ করাও অ’পরাধ, যার কারণে ক্যারোলিন এবং হেককে শা’স্তি দেওয়া হয়।

ড্যানিয়েলের স’ন্ধান পেলে জ্যাকব যখন 10 বছর বয়সে ছিলেন, তখন তিনি জ্যাকব এবং তার পরিবারকে ক্যারোলিন এবং হেকের সাথে দেখা করিয়েছিলেন এবং উভয়ে জা’মিন পেয়েছিলেন।

জ্যাকব তাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং লিখেছিলেন যে তিনি তার সাথে যা করেছিলেন তা ভু’ল ছিল কিন্তু কোনওভাবেই তার সাথে খা’রাপ ব্যবহার করেন নি এবং সন্তানের প্রতি তার ভালবাসার জন্য তিনি তাকে ক্ষ’মা করছেন।

এই চিঠির পরে ক্যারোলিন এবং হেককে জা’মিন দেওয়া হয় এবং ড্যানিয়েলের প্রতিবেশী হয়ে ওঠে আবার। এখন উভয় পরিবার একসাথে জ্যাকবকে দেখাশোনা করে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.