গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে কার্যত জেতা ম্যাচ হেরে গিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। আর এর দোষ অনেকেই দিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ডান হাতি তারকা ব্যাটসম্যান কেদার যাদবকে।
যখন প্রয়োজনীয় রান রেট ১২ এর কাছাকাছি ছিল, তখন তিনি নেমেছিলেন ডিফেন্স করতে। এদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে রান রেট বাড়ছে, অন্যদিকে কেদার যাদব একটিও বড় শট মারতে পারছেন না। ১২ বলে অপরাজিত ৭ রানের অত্যন্ত খারাপ ইনিংস খেলেছেন কেদার গতকাল।
আর এরপর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এই চেন্নাই সুপার কিংস দলে তার জায়গা নিয়ে। এর আগে তিনি অত্যন্ত কার্যকরী পার্ট টাইম অফ স্পিন বোলিং করতেন, কিন্তু এই মরশুমে তাকে তা করতে দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে ব্যাটিংয়ে অত্যন্ত খারাপ ফর্ম দেখিয়েছেন কেদার। এর ফলে প্রশ্ন, চেন্নাই সুপার কিংসে কি এমন কেউ আছেন যিনি কেদার যাদবকে বসিয়ে দলে আসতে পারেন। এমন তিনজন খেলোয়াড় রয়েছেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। দেখে নেওয়া যাক কারা সেই তিন ক্রিকেটার।
১. মুরলী বিজয়
যদিও প্রথম তিন ম্যাচে খুব একটা আহামরি পারফর্ম করতে পারেননি চেন্নাইয়ের এই তারকা ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচে মাত্র ৩২ রান করেছেন বিজয়।
কিন্তু তার পুরোনো পারফর্মেন্সের উপর ভরসা রেখে এবং ব্যাটিং অর্ডারে শক্তি বাড়াতে আবারও বিজয়কে ফিরিয়ে আনতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্ট।
মুরলী বিজয়কে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে ফাফ ডু প্লেসিসকে তিন নম্বরে নামানো যেতে পারে। ৩৬ বছরের এই ব্যাটসম্যান আইপিএল এ ২৬১৯ রান করেছেন। এবং প্রয়োজনে বড় শট খেলার ক্ষমতাও রয়েছে মুরলী বিজয়ের।
২. ঋতুরাজ গায়কোয়াড়
মূলত সুরেশ রায়নার পরিবর্ত হিসেবে ভাবা হলেও সেই জায়গায় ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় এ দলের এই তারকা ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে শুন্য করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৫ রান করেন।
কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে যথেষ্ট পোক্ত ঋতুরাজ। ভারতীয় এ দলের হয়ে গত দুই বছরে সর্বাধিক রান করেছেন তিনি। ওপেনিংয়ে অত্যন্ত ভালো রেকর্ড রয়েছে পুনের এই ব্যাটসম্যানের। ফলে ফাফ ডু প্লেসিসকে তিন নম্বরে নামিয়ে শেন ওয়াটসনের সাথে ওপেনিংয়ে নামতে পারেন ঋতুরাজ।
৩. নারায়ণ জগদীশন
চেন্নাই সুপার কিংসের এই খারাপ অবস্থার অবসান ঘটাতে এবার তরুণ ও অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারদেরকে সুযোগ দিতে হতে পারে ম্যানেজমেন্টের। সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত তামিলনাড়ুর এই প্রতিভাবান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
২০১৮ সাল থেকে চেন্নাই সুপার কিংস দলে থাকা এই ক্রিকেটার এখনও অবধি সুযোগ পাননি প্রথম একাদশে। ২০১৬ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটসম্যান বড় বড় রান করেছেন টি২০ ক্রিকেটে। ফলে কেদারের জায়গায় মিডল অর্ডারে ভালো অপশন হতে পারেন জগদীশন।