রাজ্য সহ গোটা দেশে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আর এমন সময় বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন এই রাজ্যের শিক্ষকদের অনেকেই। ডিএলএড শংসাপত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে সমস্যায় পড়েছেন কম নম্বর পাওয়া শিক্ষকদের একাংশ। নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ায় প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও একাধিক প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি হারাতে পারেন, এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে কিছু মাস আগে জারি করা নতুন নির্দেশিকা এনআইওএস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে যে সমস্ত ডিএলএড প্রার্থী তাঁদের উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই পাবেন এই শংসাপত্র।
আর তাতেই বিপাকে পড়তে চলেছেন রাজ্যের বহু প্রাথমিক শিক্ষক। ডিএলএডের পাঠ্যক্রম শেষ করেও অনেকেই শংসাপত্র এখনও হাতে পাননি। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডিএলএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন।
ওই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছিল রাজ্যের সকল প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক শিক্ষিকাকে ডিএলএড প্রশিক্ষণে ভর্তি হওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে, কর্মরতদের যাঁদের উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই তাঁদের ডিএলএড করতে হলে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে নম্বর বাড়াতে হবে না। কিন্তু নতুন ফতোয়াতে সেই নোটিশের বিপরীত কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে একমাত্র তাঁরাই শংসাপত্র পাবেন, যাঁদের উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর ৫০ শতাংশে আপগ্রেড করা হয়েছে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে শিক্ষকদের একটা বড় অংশের মধ্যে।