দোকানে দোকানে দুধের প্যাকেট বিলি করে দিন গুজরান করেন হাওড়া ডোমজুড়ের উত্তর ঝাঁপরদহ গ্রামের শক্তি দাস। অভাবের সংসারে লকডাউনের সময়ে নেমে এসেছিল তীব্র অনটন।
দুধের প্যাকেট সরবরাহ করে মাসে খুব অল্প আয় হতো। অবশেষে সেই শক্তিবাবুই লটারিতে প্রথম পুরস্কার জিতে হয়ে গেলেন কোটিপতি।
শনিবার এলাকারই এক লটারির দোকান থেকে রাজ্য সরকারের ডিয়ার লটারির ৫টি টিকিট ৩০টাকা দিয়ে কেটেছিলেন তিনি। রাজ্য লটারির অধীন ওই ডিয়ার লটারির প্রতিটি দাম ছিল ৬ টাকা করে। ৫ টি টিকিটের একটি সিরিজ কেটেছিলেন তিনি। ওইদিনই ছিল খেলা। ওইদিন আর কোনও খোঁজ নেননি।
তবে পরের দিন সেই দোকানে গিয়ে টিকিট মেলাতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে যান শক্তি। নিজের চোখকেও তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি। তাঁর কাঁটা লটারির টিকিটেই লেগে গিয়েছে কিনা এক কোটি টাকা। আনন্দে কার্যত হতবাক হয়ে পড়েন গরীব পরিবারে বড় হওয়া শক্তিবাবু।
তিনি বলেন, একসঙ্গে ১ লাখ টাকা কোনওদিন চোখে দেখিনি। আর সেখানে ১ কোটি টাকা জিতে গেলাম কীভাবে! এটা যেন ভাবতেই পারছেন না শক্তিবাবু। বিপুল এই অংকের টাকা জেতার পর রাতের ঘুম চলে গিয়েছে শক্তিবাবুর।
জানা গিয়েছে, এই টাকা খুব শীঘ্রই শক্তিবাবুর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। নিয়ম মেনে টাকা কেটে পুরো টাকাটাই তাঁর অ্যাকাউন্টে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
এই টাকা নিয়ে কী করবেন তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি পেশায় দুধের প্যাকেট সরবরাহকারী শক্তি। তবে এই টাকায় একটা মনের মতো বাড়ি তৈরি করতে চান তিনি। আর সেই সঙ্গে বৃদ্ধা মা সহ পরিবারের সকলকে ভালোভাবে দেখাশোনা করতে চান বলে জানিয়েছেন শক্তি।