৭ টি আসুখ যা মহামারীর আকার ধারন করে ভারতের জনসংখ্যা করে দিতে পারে অর্ধেক…

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিচালনার উপর নজর রাখে। অপুষ্টি, রোগ নিরাময়ের জন্যে যথেষ্ট ব্যাবস্থা নেয় এই সংস্থা। তাদের মতে সামনে বড় বিপদ আসতে চলেছে ভারতে, তাই এখনই সতর্ক না হলে মারা যেতে পারে হাজারও মানুষ। হু’এর মতে এখুনই একটা পদক্ষেপ না নিলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ।

হু’এর মতে এখনই সতর্কতা অবলম্বন না করলে ভারতীয়দের প্রান কারবে এই অসুখ গুলো। এই সাতটি অসুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রামণ যেমন আছে, তেমনই আছে কিছু লাইফস্টাইল ডিজিজ। জেনে রাখুন সেগুলি সম্পর্কে।

এইচ এই ভি ঃ- মারন রোগ এইচ এই ভি থাবা বসিয়েছে ভারতে। প্রায় ১২০ কোটির দেশ এই ভারত, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত প্রিকশান না নেওয়াকেই দায়ি করেছে হু। কয়েক বছর আগে এই রোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে কন’ডমের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সর্বত্র, কিন্তু তার পরেও কেন এই সমস্যা, এই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন হু।

ক্যান্সার ঃ- হু’এর থ্রেট লিস্টে রয়েছে মারন রোগ ক্যান্সার। এই রোগে গত বছর প্রায় ৭ লক্ষ্যেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকাল রিসার্চ নামক এক সরকারি সংস্থা। আরও জানা গেছে যে প্রতি বছর প্রায় ৬ লক্ষ্য ৭০ হাজার মানুষ কেমো থেরাপির বশবর্তী হয় এই ক্যান্সার রোগের জন্যে।

ডেঙ্গি ঃ- গোটা দেশে ডেঙ্গির প্রভাব পরেছে অনেকটাই। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় মারা গিয়েছে কয়েক লক্ষ্য মানুষ বলছে গত বছরের পরিসংখ্যান। আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে হু বলেছে যে মশা এবং মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থা খুব দুর্বল ভারতে, তাছাড়াও মশা বাহিত রোগ গুলি রোখার পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নিতেও রাজি নয় ভারত।

ডায়াবেটিস ঃ- ‘ভারত হল ডায়াবেটিসের আতুর ঘর’ বলে সম্বোধন করেছেন অনেক চিকিৎসক। গবেষণায় উঠে এসছে যে আজকালকার দিনের জীবন যাত্রা, খাবার খাওয়ার অভ্যেস, কাজের চাপ, শারীরিক পরিশ্রম কম করা ইত্যাদি সমুহ এই রোগের কারন। দিনের পর দিন এই রোগের প্রভাব ও রোগাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

দূষণ ঃ- গ্লোবাল অয়ারমিং, পলিউশন ইত্যাদিও শারীরিক অবস্থার অবনতির অন্যতম কারন এবং পরক্ষভাবে এই দূষণ ক্যান্সারও ঘটাতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ঃ- সোয়াইন ফ্লু আর ইনফ্লুয়েঞ্জা হল ভাইরা ভাই, এর প্রকপ দিন দিন বাড়ছে। হয়তো আর কয়েক বছরের মধ্যে মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগ। ফলে অনেক মানুষ একসাথে মারা যেতে পারে। এটিও হু’এর থ্রেট লিস্টে আছে।

ব্যাকটেরিয়াল সংক্রামণ ঃ- ব্যাকটেরিয়াল ইনফেক্সানের ভয়ও রয়েছে ভারতে। বিভিন্ন সংক্রামণ এতটাই মারাত্মক হয়ে উঠেছে যে তা ওষুধে বাগে আনতে পারছেন না চিকিৎসকরা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.