৭ ম্যাচ পর গেইল পাঞ্জাবের একাদশে, মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গুলি

প্রাথমিকভাবে টিম কম্বিনেশন ও পরে খাদ্যে বিষক্রিয়া- এ দুই কারণে ইন্ডিয়ানের প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের প্রথম সাত ম্যাচে খেলতে পারেননি কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল। সেই সাত ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল প্রীতি জিনতার দল।

সুস্থ হয়ে অষ্টম ম্যাচে দলে ফিরেছেন ইউনিভার্স বসখ্যাত গেইল। কিন্তু পাননি নিজের চিরচেনা ও পছন্দের ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ, খেলতে হচ্ছে তিন নম্বরে। এতে অবশ্য গেইলের পারফরম্যান্সে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বরং পাঞ্জাবের টানা তিন জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন গেইল।

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু। পরে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২১ বলে ২৪ রানের পাশাপাশি সুপার ওভারে জয় এনেছেন তিনি। আর সবশেষ চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে তুলেছেন ১৩ বলে ২৯ রানের ঝড়। তিনটি ম্যাচই জিতেছে পাঞ্জাব।

আসরে নিজের প্রথম ফিফটির পর তা উদযাপন করতে গিয়ে ব্যাটের উল্টো পাশে থাকা ‘বস’ লেখাটার দিকে ইঙ্গিত করেন গেইল। কিন্তু কেন? কিছুটা আক্ষেপ ঝরা কন্ঠে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব বলেন, ‘আমি শুধু বলব, নামটাকে তো একটু সম্মান করুন! এটুকু করলেই চলবে।’

এ কথাতেই স্পষ্ট ছিলো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেয়ে নিজের মধ্যে একধরনের জেদ চেপে বসেছিল গেইলের। যার বহিঃপ্রকাশ তিনি করেছেন প্রথম ম্যাচেই ফিফটি হাঁকানোর পর।

অথচ দলের বাইরে থাকার সময়টা তিনি খুব হাসিখুশি কাটাচ্ছেন, এমনটাই দেখিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জীবন উপভোগ করছি- এই হ্যাশট্যাগে করেছেন বিশদ এক পোস্ট।

তবে এগুলো যে স্রেফ বাইরের দেখানো রুপ ছিল তা যেনো ধরতে পেরেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। তার মতে, বাইরে হাসিখুশি থাকলেও, ভেতরে ভেতরে ঠিকই খারাপ লেগেছে গেইলের।

স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে শুরুর ম্যাচগুলোতে গেইলের না থাকার ব্যাপারে গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘আমরা সবাই মনে করি যে, গেইল হাসছে, সবকিছু উপভোগ করছে।

কিন্তু আসলে বাইরে বসে থাকার বিষয়টি ঠিকই তাকে পীড়া দিয়েছে। এটা থেকেও আসলে শেখার আছে। আইপিএলে প্রতিযোগিতা আসলে অনেক বেশি।’

এসময় এখনও পর্যন্ত হওয়া আইপিএলের ম্যাচগুলোর বিষয়ে নিজের মূল্যায়ন গাঙ্গুলি। বিসিসিআই সভাপতির দৃষ্টিতে পুরো টুর্নামেন্টটাই দুর্দান্ত। তিনি আলাদা করে কোনো পারফরম্যান্সের কথাও উল্লেখ করতে পারেননি। কেননা আসরজুড়ে নানান পারফরমার তাকে মুগ্ধ করেছে।

গাঙ্গুলির ভাষ্য, ‘আমি মনে করি, পুরো টুর্নামেন্টটাই দুর্দান্ত। এখান থেকে এক-দুইটা মুহূর্ত আলাদা করা সম্ভব নয়। লোকেশ রাহুল, শিখর ধাওয়ানের ব্যাটিং, কিছু খেলোয়াড়ের ফিল্ডিং, জাসপ্রিত বুমরাহ, এনরিচ নর্টজে, কাগিসো রাবাদা, মোহাম্মদ শামির বোলিং, এই ফরম্যাটে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটিং- সবই তো স্পেশাল।’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.